নারায়ণগঞ্জ থেকে : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নিজেরাই যদি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অজুহাত প্রদর্শন করতে চায়, তাহলে কিছু বলার নেই।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নিরামিশ নির্বাচনে যেতে চাই না। সেই নির্বাচনের কোন অর্থই নেই। অর্থবহ নির্বাচনের জন্য অর্থবহ অংশগ্রহণ চাই। চাইবো বিএনপি অংশ নেক। খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে, না ছাড়া যাবে, এটাতো আদালতের বিষয়। এটা কোন সরকারের বিষয় নেই।
শুক্রবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষা নদীর উপর নির্মাণাধীন ২য় কাঁচপুর সেতু সুপারস্ট্রাকচার লঞ্চিংয়ের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, নারায়ণগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আলীউল হোসেন, নারায়ণগ ঞ্জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মঈনুল হক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বারবার মির্জা ফখরুল সরকারকে অভিযুক্ত করছে। বিএনপি নিজেরা যদি নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ায়, সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা তাদের নির্বাচনকে সরাবো না। বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় লাখ লাখ লোকের ঢল নামবে, এমন আশায় বিএনপি অপেক্ষমান ছিল। জনগণের কোন সাড়া না পেয়ে, বিএনপি এখন অক্ষমতার অজুহাত হিসেবে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের কৌশল অবলম্বন করেছে। ঢাকা সিটিতে অনশন করেছে, প্রেস ক্লাবের সামনে প্রোগ্রাম করেছে, নয়া পল্টনের সামনে করেছে, কোথাও তো পুলিশ বাধা দেয়নি। তারা আদালতের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, অন্ধকারে ঢিল ছোড়া বিএনপির পুরোনো অভ্যাস। আদালতের আদেশের বাইরে বেগম জিয়ার বিষয়ে সরকারের কোন হাত নেই, কোন হস্তক্ষেপ নেই। খালেদা জিয়াকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো, বা তার বিরুদ্ধে নতুন মামলা দেওয়া এটা আদালতের বিষয়, সরকারের নয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, কারাগার চলবে জেল কোড অনুযায়ী। এখানে খালেদা জিয়ার জন্য আমরা বিশাল সমাবেশ করতে পারবো না। কারাগার তো নির্জন। বাইরে নানান জুট জামেলায় থাকেন, কারাগার তো একটু শান্তিতে, স্বস্তিতে থাকার একটা জায়গা। কারাগারে ডিভিশন নিয়ে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি তার গৃহকর্মীকেও তিনি সঙ্গে নিয়ে কারাগারে নিয়ে আছেন। যেটা এ দেশে নজিরবিহীন। এ সুযোগ বাংলাদেশে কেউ পান না।
এমটিনিউজ/এসএস