নিউজ ডেস্ক : মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে দুই সন্তান। মেয়েটির বয়স ১৩ আর ছেলেটির বয়স প্রায় ১০ বছর। মায়াভরা শিশু দুটির মুখ। মাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদছে তারা। কিছুতেই মাকে ছাড়ছে না দুই শিশু।
অপরদিকে মা মিতু তার সন্তানদের ফেলে প্রেমিকের কাছে যাওয়ার জন্য কাঁদছেন। সন্তানদের কান্না তার কানে পৌঁছায় না। উল্টো প্রেমিকের সঙ্গে যাওয়ার জন্য কান্না শুরু করে দেন মিতু।
মিতু ও তার সন্তানদের কান্না দেখে নারায়ণগঞ্জ আদালতের জিআরওতে ভিড় জমে যায়। ছুটে আসেন আইনজীবী, সাংবাদিক, বিচারপ্রার্থীসহ আশপাশে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাও। সবাই যেন এসেই থমকে দাঁড়ায়। এমন করুণ ও হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি হয়তো সিনেমাতে কেউ কেউ দেখলেও বাস্তবে কারও দেখা হয়নি।
সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের মেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া নাজিরা আক্তার মিতু ও তার দুই শিশু সন্তানের মধ্যে গতকাল সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর কোর্ট জিআরও বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
কোর্ট পুলিশের এসআই হানিফ মিয়া সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নাজিরা আক্তার মিতু তার স্বামী উইসুফ মিয়া ও তাদের দুই সন্তান নিয়ে ভূইগড় রূপায়ন টাউনে বসবাস করেন।
এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে এক সন্তানের জনক আবুল হোসেন সজিবের সঙ্গে পরকীয়ায় ১৮ এপ্রিল দুই সন্তান ও স্বামী রেখে রূপায়ণ টাউন থেকে মিতু পালিয়ে যান।
গত ২৬ এপ্রিল মিতুর স্বামী ইউসুফ মিয়া একটি অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায় রোববার বিকেলে মিতুকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে মিতু জবানবন্দিতে বলেন, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। সে স্বেচ্ছায় স্বামীকে তালাক দিয়ে সজিবের কাছে চলে যায়। পরে আদালত মিতুকে তার নিজ জিম্মায় মুক্তি দেয়। পরে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্ম হয়।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস