প্রেমিকার গায়ে প্রেমিকের আগুন, তারপরও বিয়ে
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রেমিকার গায়ে প্রেমিকের আগুন, তারপরও বিয়ে দিলেন মেয়ের বাবা। ঘটনাটি ফতুল্লার ইসদাইরে।
প্রেমিকা কলেজ ছাত্রী তানিয়া আক্তারকে ডেকে নিয়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন প্রেমিক সানি। সেই প্রেমিকের সাথেই আজ বিয়ে হয়েছে প্রেমিকার।
ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল মেম্বারের কার্যালয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুজনের বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
তানিয়া আক্তার (১৮) নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
বিয়ের আয়োজক ইসদাইর বন্ধন গার্ডেনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তানিয়ার সঙ্গে সানির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে প্রেমিকা প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় তানিয়ার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় সানি। এ অবস্থায় তানিয়ার জীবন বিপন্নের পথে ছিল।
তিনি জানান, সানির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে উভয়পক্ষ বিয়েতে রাজি হলে তিন লাখ টাকা কাবিনে দু’পক্ষের পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
তানিয়ার বাবা বাবুল মিয়া জানান, তারা ফতুল্লার ইসদাইর কাপুইড়াপট্টি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। প্রায় তিন বছর ধরে তানিয়ার সঙ্গে একই বাড়ির ভাড়াটিয়া মফিজ মিয়ার ছেলে গার্মেন্ট শ্রমিক সানির (২৬) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তিনি জানান, একই বাড়ির ভাড়াটিয়া হওয়ায় একে অপরের বাসায় আসা যাওয়া করতো। গত ৩০ জুলাই বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে সানি তানিয়াকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। এসময় সানি তানিয়ার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা নিজেরাই আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে থাকে।
খবর পেয়ে তানিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়।
৬ আগস্ট সানিসহ তার বাবা মফিজ ও মা সালমা বেগমকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়।
৪ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর
�