নিউজ ডেস্ক: সোমবার নারায়ণগঞ্জের জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ভেজাল জুস তৈরির কারখানায় অভিযান চালানোর সময় যা দেখেছেন তাতে হতভম্ব হয়েছেন অভিযান পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং তাকে সহায়তাকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তারা।
সরজমিনে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত দেখেন, এই কারখানায় তৈরি করা আমের জুসে ব্যবহার করা হচ্ছে না আম কিংবা অন্য কোনো ফলের রস। পরীক্ষাগার ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে উৎপাদন করা হচ্ছে এই পণ্য। কারখানায় রঙ ও কেমিক্যাল দিয়ে এখানে তৈরি করা হচ্ছিল কমলার জুস। রঙ ও কেমিক্যালের মিশ্রণ ভরা হয় বোতলে।বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের নকল ক্যান্ডি ও নিম্নমানের পাউডার ড্রিংকসে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ট্যাং’-এর নাম।
অভিযান পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম গোটা দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান। শিশুরা এই জুস খাচ্ছে দেখে অসহায় বোধ করেছেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এর মালিক ও ব্যবস্থাপকসহ সাত জনকে আটক করে প্রত্যেককে ১৫ দিন থেকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জরিমানা করেছেন ১১ লাখ টাকা।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, কারখানায় যে রঙ ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি খাবারের নয়। কাপড়ে ব্যবহার করা হয় এই রঙ। ম্যাঙ্গো জুস নামে বেচলেও তাতে আমের কোনো পাল্প নেই। পানির সঙ্গে গন্ধের জন্য দেয়া হয় ম্যাঙ্গো ফ্লেভার। আর মিষ্টি করতে দেয়া হয় স্যাকারিন।
তিনি বলেন, ‘এই জুসগুলো সাধারণত শিশুরাই পান করে। যে আম বা কমলার জুস খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের বায়না ধরে থাকে, সেগুলো যে কী দিয়ে তৈরি হয় তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। ফলের জুসের কথা বলা হলেও বাস্তবে ফলের কোন পাল্প এসব ফ্যাক্টরিতে পাওয়া যায় না।’