নারায়ণগঞ্জ: শামীম ওসমানের আসনে পাল্টে যাচ্ছে বিএনপির প্রার্থী! নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে থেকেও বাদ পড়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। এতে প্রার্থী নিয়ে তৃণমূল বিএনপিতে ক্ষোভ বাড়ছে। এই আসন থেকে ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমানকে বিপুল ব্যবধানে পারজিত করে নির্বাচিত হয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, শামীম ওসমানের বিপরীতে লড়াই করার মতো যোগ্য সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন। প্রত্যাশাও ছিল বিএনপি তাকে মনোনয়ন দেবে।
একাধিক সূত্রের দাবি, শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হবেন গিয়াস উদ্দিনই। নির্বাচনী কৌশল হিসেবে ঘোষণা পাল্টে ৮ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে তার নামই আসবে।
জানা গেছে, এ আসন থেকে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ-আলম এবং সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদকে যৌথভাবে মনোনিত করা হয়েছে। চুড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণায় এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। এদের দু’জনকে ব্যক্তিগতভাবে সমঝোতা করতে বলা হলেও ধারণা করা হচ্ছে গিয়াস মাইনাস হওয়ায় মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মামুন মাহমুদের চেয়ে ঢের এগিয়ে শাহ-আলম।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২৮ নভেম্বর দুপুরে বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার ফোন পান গিয়াস উদ্দিন। তিনি তাকে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলেন। এরপরই বিকেল ৩টার দিকে গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।
এ বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। নিশ্চিতভাবেই নির্বাচনও করছি। বাকিটা দলের ইচ্ছে, ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, দেখুন কি হয়!
ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খোন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেন, গিয়াস উদ্দিন দক্ষ রাজনীতিক, ভোটের মাঠে অভিজ্ঞ। সঙ্কটকালীন সময়ে নির্বাচনে তাকেই বেশি প্রয়োজন।
তবে এ বিষয়ে শাহ আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, গত ২০০৮ সালের নির্বাচনে গিয়াস উদ্দিন কারাবাসে থাকায় এই আসনে বিএনপি প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার সুযোগ মেলে শাহ-আলমের। অন্যদিকে একই আসনে আওয়ামী লীগের হেভীওয়েট প্রার্থী শামীম ওসমান ছিলেন দেশান্তরী হয়ে। ফলে মনোনয়ন পেয়েছিলেন চিত্র নায়িকা সারাহ বেগম কবরী। সেবার শাহ-আলমে ভড়া ডুবি হয়েছিল বিএনপির ধানের শীষের।
সেই ট্রাজেডির দশ বছর পেড়িয়ে আজ ২০১৮ সাল প্রায় শেষ। এই দশ বছরেরও অধিক সময় ধরে সরকার দলীয় নানামুখী চাপে বিএনপির পিঠ ঠেকেছে দেয়ালে। তবে বেশ আয়েশেই ছিলেন শাহ-আলম!
দলের নেতাকর্মীদের মাথায় যেখানে রাজনৈতিক মামলার বোঝা, সেখানে শাহ-আলমের মামলা খুজতে ‘দূরবীনের’ প্রয়োজন ! হ্যা… একটি মামলা রয়েছে শাহ-আলমের বিরুদ্ধে। মামলার সমিকরণেই বোঝা যায়, কতটা মাঠমুখী ছিলেন শাহ-আলম!