নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, আমার আসনে ধানের শীষ প্রতীকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, খারাপ কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। আমি মনে করি প্রার্থী কোনো কিছু করবেন না। যারা করবে তারা বাইর থেকে এসে অঘটন ঘটিয়ে যাবে। আমি চাই না বিএনপির কেউ বিপদে পড়ুক।
তিনি বলেন, বাইরের লোক এসে যদি কোনো অঘটন ঘটিয়ে থাকে, তাহলে বিএনপির লোকজন দোষী হবেন। তাই বিএনপির ভালো লোকদের বলছি, আপনারা চোখ-কান খোলা রাখেন। কোনো অঘটন ঘটলে বিএনপির কেউ বিপদে পড়লে আমার কিছু বলার থাকবে না।
শনিবার সন্ধায় ফতুল্লার পঞ্চবটির এবি ভেজিটেবল ওয়েল মাঠে বিএনপির সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর আহ্বানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, ২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামী লীগের অফিসে বোমা হামলায় বিএনপির অনেক নেতা মামলার আসামি হয়েছেন। ওই ঘটনায় করা মামলায় তৈমুর আলম খন্দকার আসামি হলেও প্রকৃতভাবে তিনি জড়িত না। প্রকৃতভাবে বোমা হামলায় যারা জড়িত, তাদের মধ্যে কয়েকজন জেলহাজতে রয়েছে। ১৬ জুনের মতো যেন নারায়ণগঞ্জের কোনো স্থানে কিছু না ঘটে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমার প্রয়োজনে আপনাদের কাছে আসিনি। আপনাদের প্রয়োজনে আমি এসেছি। আমি এমপি হয়ে যে উন্নয়ন করেছি তা বলার অবকাশ রাখে না। আমি কারও কাছে ভোট চাইনি আর চাইব না। আমি যদি উন্নয়ন করে থাকি তাহলে আপনারা বিবেচনা করবেন। আমি আগামীতে নারায়ণগঞ্জকে ঢাকার চেয়ে সুন্দর করব।
বিএনপির সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির ও শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু প্রমুখ।