নারায়ণগঞ্জ: ভোট নয়, দোয়া চেয়ে ভোটের মাঠে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। শুধু তাই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েও তিনি সর্বমহলে সাড়া ফেলেছেন। যেমন প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী মুনির হুসাইন কাসেমীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা চেয়ে তিনি প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
শামীম ওসমানের নিজ আসন তথা পুরো জেলায় চলছে এখন এসব নিয়ে আলোচনা। এরই মধ্যে আলেম সমাজসহ সর্বস্তরের ভোটাররাও শামীম ওসমানের নির্বাচনী বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার শামীম ওসমান নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাসেমীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনে চিঠি দেন।
এ ছাড়া কাসেমীর ভাইকে পুলিশ আটক করলে তিনি নিজে তার আইনজীবীকে বলে দেন কাসেমীর ভাইয়ের জামিনের ব্যবস্থা করতে। এরপরই জামিনে বের হন কাসেমীর ভাই।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে মির্জা ফখরুল এলে পুলিশকে তার প্রটেকশন দিতেও বলেন শামীম ওসমান। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ‘আমার এলাকায় ফুলের টোকাও যেন না পড়ে কোনো প্রার্থীর গায়ে। উনারা আমার এলাকায় স্বাধীনভাবে কাজ করুন, আমি তাই চাই। কিন্তু কোনো নাটক চাই না।’
শামীম ওসমানের এসব বক্তব্যে ভোটাররা বলছেন, তিনি সম্প্রতি বিভিন্ন উঠান বৈঠক বা পথসভায় কোনো ভোট চাননি। শুধু চেয়েছেন দোয়া। সম্প্রতি সিদ্ধিরগঞ্জে মাদানীনগর মাদ্রাসায় জেলার মসজিদ মাদ্রাসার ইমাম ও মোহতারিমদের মজমায় উপস্থিত হয়ে শামীম ওসমান বলেছেন, আপনারা আমাকে এমপি বানানোর ক্ষমতা রাখেন কি? সবাই বলেন- না। তাহলে আমি কেন ভোট চাইব? আমি তো আল্লাহর ওপর ভরসা করি, তবে হ্যাঁ, আপনাদের দোয়া চাই। আল্লাহ যাকে চাইবেন সেই নির্বাচিত হবেন। শুধু এ জন্য দোয়া চাই যেন ইসলামের জন্য কাজে লাগতে পারি এবং সব ধর্মের সম্মান ঠিক রেখে চলতে পারি।
শামীম ওসমানের এ রকম বক্তব্যে উপস্থিত অনেক আলেমই মন্তব্য করেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম শামীম ওসমান আমাদের কাছে ভোট চাইবেন। কিন্তু তিনি শুধু দোয়া চেয়েছেন এবং আল্লাহর ওপর তার ভোটের ফল ছেড়ে দিয়েছেন।’ তাদের মতে, তার এ তাকওয়া আলেম সমাজে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।