প্রেমে সাড়া না পেয়ে মারামারি, আহত ১৫
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রেমে সাড়া না পেয়ে উত্ত্যক্ত করায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত টেটাঁবিদ্ধ দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যদের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে আড়াইহাজার উপজেলার উচিতপুরা বাজারে।
টেটাঁবিদ্ধ আহতরা হলেন মোমেন মিয়া (৪০) ও আলমগীর হোসেন (৫২)।
জানা গেছে, উপজেলার শম্ভুপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে আসছিল আবুল হোসেনের ছেলে আসাদ মিয়া। এতে ব্যর্থ হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আসাদ মিয়া ওই ছাত্রীকে রাস্তায় উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনায় দুই পরিবারের লোকজনদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ছাত্রীর মামা শরীফ মিয়াকে মারধর করে আসাদের বাবা বাবুল হোসেনসহ সহযোগীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার দুপুরে উভয়পক্ষ উচিতপুরা বাজারে আবারো তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অন্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কয়েক দফা সংঘর্ষে অন্তত ১৫জন আহত হয়।
সংঘর্ষের সময় বাবুল মিয়ার বসতঘর, বাসেদ আলীর খাবার হোটেল, গফুর মিয়ার পাওয়ারলুম কারখানায় ভাঙচুর চালানো হয়। সংঘর্ষে টেটাঁবিদ্ধ হন মোমেন মিয়া (৪০) ও আলমগীর হোসেন (৫২)। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্য আহতরা হলেন পারুল (৩০), তাইজুল ইসলাম (৩৫), বাছেদ (৩০), জয়নাল (৪০), হারুন (৩০), মিছির আলী (৪৫), হালিম (৫০), কাজল (১৮), মনির (৩৫), নবী (৩২), রমিজউদ্দিন (৬৫) ও সালমা (২২)। তাদের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শম্ভুপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল হান্নান মিয়া জানান, আসাদসহ তার কয়েক সহযোগী এর আগেও ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতো। বেশ কয়েকবার স্কুলের পক্ষ থেকে তাদের শাসিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু তাতেও বন্ধ হয়নি।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।
১১ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর
�