নারায়ণগঞ্জ থেকে : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় গ্রেফতার হওয়া আসামিকে দেখতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে অশোভন কার্যকলাপ ও বাজে ব্যবহারে জড়িয়ে পড়েন উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির। পরে তাকে আ'টক করা হয়। আ'টকের ৫ ঘণ্টা পর মু'চলে'কায় মুক্তি পান ফাতেমা মনির। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেতাদের সুপারিশে তাদের জি'ম্মায় ভাইস চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় একটি মা'রামা'রি মা'মলায় নারীসহ দুই আসামিকে গ্রে'ফতারের পর সেই আসামির পক্ষ নিয়ে থানায় যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেত্রী ফাতেমা মনির।
তিনি থানার ভেতর প্রবেশ করে পুলিশের কাছে জানতে চান কেন তাদের গ্রে'ফতার করা হয়েছে। এতে ফাতেমা মনির পুলিশের সঙ্গে অশো'ভন আচরণ করার ঘটনায় পুলিশ ফাতেমা মনিরকে আ'টক করে। এদিকে ফাতেমা মনিরকে আ'টক করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ফতুল্লা থানায় ছুটে যান ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম এবং এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান।
তারা ওসি আসলাম হোসেনের সঙ্গে বসে ফাতেমা মনিরের আ'টকের ঘটনার বিষয় শোনেন এবং পুলিশের সঙ্গে ফাতেমা মনিরের অশো'ভন আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় ওসি সবার সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে মু'চলে'কা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের জি'ম্মায় ছেড়ে দেন।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ফাতেমা মনির একজন জনপ্রতিনিধি। উনি যেকোনো বিষয়ে থানায় আসতেই পারেন। ওনার পরিচিত ব্যক্তিদের পুলিশ গ্রেফতার করায় উনি থানায় এসে ঘটনার বিস্তারিত না জেনে পুলিশের সঙ্গে অশো'ভন আচরণ করেন। যে কারণে ফাতেমা মনিরকে আ'টক করা হয়েছিল। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। তাকে মু'চলে'কায় আওয়ামী লীগ নেতাদের জি'ম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।