নিউজ ডেস্ক : নোভেল করোনাভাইরাস (কভিড ১৯) এর প্রভাবে প'র্যুদস্ত পুরো পৃথিবী। আ'ক্রা'ন্ত হয়েছে এই ভূখণ্ডের প্রতিটি কোণা। কভিড ১৯ এর আগ্রাসী ও মহামা'রি রূপ সারা বিশ্বকে হত'বাক করে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত এর প্র'তিষেধক পরীক্ষাগার পর্যায়েই রয়ে গেছে। তাই বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েছেন সামাজিক দূরত্ব, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা এবং বিশেষ করে হাত ধোয়ার ওপর।
হাত ধোয়ার জন্য ব্যবহার করতে বলা হয়েছে ক্ষারযুক্ত সাবান ও অ্যালকেহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার। আর বিশেষজ্ঞদের এমন পরামর্শে 'কপাল খুলেছে' একধরনের অসাধু ও অমানুষ কারবারিদের। তারা প্রস্তুত করছে নকল ও মানুষের ত্বকের জন্য ক্ষ'তিকর হ্যান্ড স্যাটিটাইজার এবং তা বাজারজাত করছে। এমনই এক নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারী কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ১১ এর ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশাল কম্পানির একটি আ'ভিযানিক দল।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন নোয়াগাঁও এলাকায় অবস্থিত অননুমোদিত কারখানায় বিশেষ অ'ভিযান পরিচালনা করে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের দায়ে কারখানার মালিক মো. জামাল মিয়া (৫৪) কে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় ওই কারখানা থেকে ১৫০০ লিটার অ্যালকোহল, ১০০ মিলিলিটার ওজনের ACME ব্র্যান্ডের নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫০ মিলিলিটার ওজনের RANGER ব্র্যান্ডের নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ২৫০ বোতল, ৫০ মিলিলিটার ওজনের লেবেলবিহীন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ২৫০ বোতলসহ সর্বমোট ১৮০০ বোতল নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ১২৫০টি RANGER ব্র্যান্ডের লেবেল জ'ব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন নোয়াগাঁও এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
এ বিষয়ে সিপিএসসির কম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সং'ক্রমণ ম'হামা'রি আকার ধারণ করায় এবং কভিড ১৯ এর বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব ও দ্রুত বিস্তারের ফলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি খ্যাতিমান ব্র্যান্ডের নামে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বাজারজাত করে আর্থিকভাবে লাভবান হবার জন্য ভোক্তাদের সাথে প্রতা'রণার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন নোয়াগাঁও নামক স্থানে এমন নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের তথ্য পেয়ে র্যাব ১১, সিপিএসসি এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল অ'ভিযান পরিচালনা করে এবং কারখানার মালিক মো. জামাল মিয়াকে হাতেনাতে গ্রে'প্তার করে।