নারায়ণগঞ্জ থেকে : করোনার 'হটস্পট' নারায়ণগঞ্জের তিন এলাকার পরীক্ষামূলক লকডাউন কোনও রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ তুলে নেওয়া হয়েছে। বুধবার প্রথম প্রহরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই এলাকাগুলোর প্রবেশ পথের প্রতিব'ন্ধক সরিয়ে নেয় প্রশাসন। তবে নুতন করে রূপগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নকে লকডাউনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
লকডাউন তুলে নেওয়া ওই তিন এলাকা হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জামতলা এমপি গলি, আমলাপাড়া এবং ফতুল্লার ভুইঘরের রুপায়ন টাউন। এদিকে নতুন করে লকডাউন করা হবে রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নকে।
নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নি'শ্চিত করে বলেন, ''পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন দেওয়া ওই তিন এলাকার প্রবেশ পথে বাঁশ দিয়ে এবং পুলিশ পাহারা বাসিয়ে মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মঙ্গলবার (৯ জুন) জেলা প্রশাসনের ভার্চুয়াল মিটিং হলে জানতে পারি ওই এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ঝু'কিঁপূর্ণ না। তাই ওই তিন এলাকার লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে।''
তিনি আরও বলেন, ''ওই মিটিংয়ে নারায়ণগঞ্জের কোন এলাকায় সবচেয়ে বেশি সং'ক্র'মণ বাড়ছে তার মানচিত্র দেখানো হয়। সেই আলোকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের রুপগঞ্জ ইউনিয়নকে লকডাউন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এলাকাটিকে ১৫ থেকে ২১ দিনের জন্য পরীক্ষামূলক হিসেবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।''
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান এবং ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের তিনটি স্পটের লকডাউন প্র'ত্যা'হার করে নেওয়া হয়েছে। তিনটি এলাকায় পাইলট হিসেবে লকডাইন করা হয়েছিল। সং'ক্র'মণের হার বিবেচনা করে অন্য এলাকা লকডাউন করা হবে।
রুপগঞ্জের উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম জানান, রুপগঞ্জ সদরের রুপগঞ্জ ইউনিয়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মানচিত্রে দেখে যায় এখানে ৭১ জন আ'ক্রা'ন্ত হয়েছেন। প্রতিদিনই এই ইউনিয়নে সং'ক্র'মণের সংখ্যা বাড়ছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করে বিকাল থেকে রুপগঞ্জ ইউনিয়নকে লকডাউন করা হবে।