নারায়ণগঞ্জ থেকে : অবশেষে বাবা-মার কাছে ফিরে এসেছেন রায়হান কবির। ছেলেকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত তার বাবা-মা। রায়হান মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার পর ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধ'রে কা'ন্নায় ভে'ঙে পড়েন তারা। শুক্রবার রাত দেড়টায় মালয় এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন রায়হান। সেখান থেকে ভোরে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার শাহী মসজিদ এলাকার বাড়িতে ফেরেন রায়হান।
বাড়িতে ফিরে এলে সেখানে এক আবে'গঘ'ন পরি'স্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় রায়হানের মা-বাবা দুজনেই অ'শ্রুসি'ক্ত হয়ে পড়েন। ছেলেকে ফিরে পেয়ে বাবা শাহ আলম বলেন, ছেলে এখন আমার কাছে। কোনো সম'স্যা নেই এখন আর, সে সুস্থ ও ভালো আছে। আমার ছেলেকে ফিরে পেতে আপনারা সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছেন। তাই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তাকে ফিরে পেয়েছি এতেই খুশি, তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
মা রাশিদা বেগম বলেন, আমার ছেলে আমার কাছে ফিরে এসেছে, এটি মিডিয়া ও দেশের মানুষের জন্য সম্ভব হয়েছে। আমি আপনাদের কাছে ঋণী। ছেলেকে ফিরে পেয়ে আমি জীবন ফিরে পেয়েছি। এতদিন খুব দু'শ্চি'ন্তায় ছিলাম। প্রতি মুহূর্তে অজানা শ'ঙ্কা আমাদের তাড়া করতো, সেই শ'ঙ্কাকে দূর করে আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেয়েছি।
রায়হান কবিরকে শুক্রবার রাত ৯টায় তাকে কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ই'মিগ্রে'শন কর্তৃপক্ষের কাছে হ'স্তা'ন্তর করা হয়। রাত ১১টায় ঢাকাগামী মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তু'লে দেয়া হয়। গত ২৪ জুলাই তাকে গ্রে'ফতার করা হয়। এর আগে রায়হান কবিরের ওয়ার্ক পা'রমি'ট বা'তিল করে মালয়েশিয়া।
রায়হান কবির বলেন, বাংলাদেশের রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাসীদের জন্য কাজ করার ইচ্ছা আমার আগে থেকেই। এই ইচ্ছেই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। পরিবারের কাছে ফিরে আসার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি আনন্দিত। মিডিয়া আমার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে। এ জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রেস মিডিয়া এবং দেশের জনগণের প্রতি আমি সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ।