এমটি নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আমি এক পয়সাও হারাম খাই না। ২০০১ সালের পর যখন দেশ ছেড়েছিলাম, আমার বড় ভাই হাত ধরে কান্না করে বলেছিলেন, টাকা নাও দোকানটা কিনে নাও। আমি নেই নাই। দেশের বাইরে গিয়ে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘যদি সত্য বলার সাহস না থাকে কথা বলবেন না। তবে মিথ্যা বলবেন না। সাংবাদিকরা সত্য লিখতে না পারলে অন্তত হলুদ সাংবাদিকতা করবেন না, মিথ্যা লিখবেন না।’
আজ শুক্রবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের রেবতী মোহন পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি দলকানা রাজনীতিবিদ না। আমি একটা জিনিস বুঝি, ভালোকে ভালো আর খারাপকে খারাপ বলব। আওয়ামী লীগ করে দেখে সবাই ভালো আর অন্য দল করে দেখে সবাই খারাপ, তা না। ভালো মানুষের এখন বড় অভাব। একটা সময় ছিল রাজনীতি মানে মানুষ তাকিয়ে দেখতো কে রাজনীতিবিদ। তাকে সম্মান করে সালাম দিত। এখন ভয়ে মানুষ সালাম দেয়। তবে সবাই এক না।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলি না আমি পারফেক্ট, কেউ পারফেক্ট না। আমার পরে হাল ধরবে তোমরা। তোমাদের কপাল ভালো আমাদেরও ভালো একজন মানুষ সৃষ্টি হয়েছে এদেশে, শেখ হাসিনা। তিনি এদেশের সম্পদ।’
তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘মা-বাবার প্রতি সবার আগে দায়িত্ব পালন করো। এতে তুমি সবদিক থেকে উন্নতি করতে পারবে, সফলতা পাবে। মা-বাবার দোয়া সবচেয়ে বড়। মা-বাবা কি জিনিস এটা চলে যাবার আগে কেউ টের পায় না। মা বাবা টাকা পয়সা চায় না, ভালোবাসা চায়। খুশির কোনো সংজ্ঞা নেই।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘অনেকে বলে আমার নাকি রাগ কমে গেছে, না তা ধৈর্য বেড়ে গেছে। অনেকে গালি দেয় আমার গায়ে লাগে না। কাক তো কা কা করে আবার উড়ে, তাকে কি কেউ পাখি বলে? কাউয়া বলে আমাদের নারায়ণগঞ্জের মানুষ। কোকিল যখন ডাকে তখন মানুষের মনে আওয়াজ বাজে, শ্রতিমধুর লাগে। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে বসে যারা গেল খেলার চেষ্টা করেছে- সাবধান, আমার ধৈর্য বেড়েছে কিন্ত আমাকে যারা ভালোবাসে তারা কিন্তু তেমনই আছে।’
তিনি বলেন, ‘সামনে কঠিন সময় আসছে। রাজনীতি মুহূর্তে মুহূর্তে বদলাচ্ছে। বিশ্বে অস্থিরতা, যুদ্ধ চলছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে এক হতে হবে। আঘাত আসবে এই শক্তিকে শেষ করতে। আমি শেখ হাসিনার জন্য তোমাদের কাছে দোয়া চাই। তার জন্য আজ বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। থানায় থানায় ইউনিয়নে ইউনিয়নে মোস্তাকরা জন্ম নেয়, খায় দলেরটা আবার দলের বিরুদ্ধে কাজ করে।’
‘অনেকে বোরকা পড়ে টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে গেছে। আমার লজ্জা হয়। পৃথিবীর অন্য দেশে রমজান এলে দাম কমে, আমাদের দেশে আমরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেই। আপনারা হাশরের ময়দানে যখন দাঁড়াবেন, কেউ আপনাদের শান্তি দেবে না,’- বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে সব শিক্ষার্থী যদি এক হয়ে যায় তাহলে কেউ মাদক বিক্রি করতে পারবে না। সবাই এক থাকলে কেউ চুরি ডাকাতি করতে সাহস পাবে না।’