নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে দুই শিশুসহ পাঁচ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নেমেছে পুলিশ। আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের দেয়া তথ্যে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য বেরিয়ে আসছে।
নিহত পাঁচজন হলেন তাসলিমা (৪০), তাসলিমার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ভাই মোরশেদুল (২৫), তাসলিমার দেবরের স্ত্রী লামিয়া (২৫)।
এ হত্যাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে তাসলিমার স্বামী শফিকুল ও শফিকুলের ভাই শরিফ।
তাসলিমার মা মোরশেদা বেগম থাকেন ধানমন্ডিতে। তার কাছ থেকে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পেয়েছে, যা এ হত্যাকাণ্ডে রহস্য উদ্ঘাটনে সহায়ক হতে পারে।
মোরশেদা বেগম পুলিশকে জানিয়েছেন, শফিকুল ইসলামের সঙ্গে তাসলিমার বিয়ে হয় ১৩ বছর আগে। রাজধানীর কলাবাগান উত্তর ধানমন্ডির পোড়াবাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন শফিকুল। ঋণের বোঝা ছিল তাসলিমার ওপর। ধার-দেনা করে ডুবে গিয়েছিল সে। বাড়ির মালিকের কাছ থেকেও ১ লাখ ধার নিয়েছিল তাসলিমা।
তিনি জানান, তবে তাসলিমার ঋণের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না তারা। কত টাকা ঋণ ছিল, টাকা দিয়ে সে কী করতো কিছুই জানতেন না তিনি। তবে পাওনাদারদের সঙ্গে বিবাদে জড়ালে বিষয়টি জানতে পারেন তিনি।
মেয়েকে সমস্যা থেকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেন মোরশেদা। কলাবাগানের ওই বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা শোধ করে দেয়ার শর্তে তাসলিমাকে গোপনে নারায়ণগঞ্জে তার বোন ইয়াছমিনের বাসায় রেখে যান। এরপর তাসলিমার জন্য মা মোরশেদা বেগম একটি বাড়ি ভাড়া করেন। গত মাসে ভাড়া নেয়া বাড়িতে তাসলিমার সঙ্গে তার ভাই ও তাসলিমার দেবর স্ত্রীকে নিয়ে থাকা শুরু করেন।
তাসলিমার মায়ের ধারণা, তাসলিমার ধার-দেনার সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্র থাকতে পারে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে একসঙ্গে পাঁচজনকে হত্যার বিষয়টি বেদনাদায়ক।
১৭ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম