এমটি নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা আজকে সারা বিশ্বে প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ কারও ওপর ভরসা করে নেই। বাংলাদেশ নিজের পায়ের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। পদ্মা সেতু তার নেতৃত্বের একটা অর্জন। শেখ হাসিনা এখন শুধু আওয়ামী লীগের সম্পদ নয়, তিনি দেশের সম্পদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা শিল্পকলা সম্মাননা পদক ২০২১ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সহ সভাপতি চন্দন শীলসহ অনেকে।
শামীম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনা ৩১ বছর বয়সে এসে হাল ধরেছিলেন। অথচ অনেকে এখন মানবাধিকারের কথা বলে, গণতন্ত্রের বড় বড় ডেফিনেশন (সংজ্ঞা) দিচ্ছেন সুশীল-কুশীলরা।
মাথায় আস্তে আস্তে র'ক্ত উঠতেছে। র'ক্ত যেদিন ফাইনালি উঠে যাবে, সেদিন মাঠে কেউ থাকবে না। আমরা রাস্তার লোক রাস্তা থেকে তৈরি হয়েছি। রাজনীতি মন থেকে করি মাথা দিয়ে নয়। যারা মন থেকে রাজনীতি করে তাদেরকে নানা সময় ধাক্কা খেতে হয়। সামনেও ধাক্কা আসবে।
১৬ জুন চাষাঢ়ার আওয়ামী লীগ অফিসে বো'মা হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমার ২০ জন লোক মারা গেছে শুনে আমি প্রচণ্ড কাঁদছিলাম। তৎকালীন ডিজিএফআই চিফ নজরুল ইসলাম সাহেব, উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে সিএমএইচে বলেন, ‘শামীম ভাই কাঁইদেন না। হয়তো আপনার অনেকগুলো লোক মারা গেছে। কিন্তু আপনার নেত্রী বেঁচে গেছে।
তার কিছুদিন পরে উনার (নেত্রীর) হিল টেক্সে যাওয়ার কথা ছিল বীর বাহাদুরের প্রোগ্রামে। যখন এতো বড় আরডিএক্স ব্লাষ্ট হয়েছে তখন প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসলো। তখন নেত্রীর প্রোগ্রাম পরিদর্শন করার জন্য তারা হিল টেক্সের পাহাড়ে উঠে দেখে সেখানে রকেট লাঞ্চার লাগানো আছে।
নেত্রী হেলিকপ্টারে যাওয়ার সময় রকেট লাঞ্চার দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হবে। হয়তো আমাদের ২০ জনের জন্য, হয়তো চন্দনের পায়ের জন্য, হয়তো আমার কিছুটা পঙ্গুত্বের জন্য শেখ হাসিনা বেঁচে গেছেন। আমরা মরে গেলে কি হবে? কিছুই হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা আছেন বলেই তো মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছি। শেখ হাসিনা আমাদের সম্পদ, দেশের সম্পদ।
চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বো'মা হামলার সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে জাহানারা ইমাম ভবন উদ্বোধনের পর সাইনবোর্ড এলাকাতে একটি সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেওয়া হলো। সেখানে লেখা ছিল রাজাকার, আল বদর ও কুকুরের প্রবেশ নিষেধ। এরপর পার্লামেন্টে একজনের সঙ্গে আমার ঝগড়া হলো। তিনি অসুস্থ্ তাই নাম বললাম না। আমাকে বললো ‘তোকে দেখে নেবো।’
পরদিন প্রধানমন্ত্রী খবর পাঠালেন। পুলিশের আইজিপি বিশেষ প্রহরা দিয়ে নিয়ে গেলেন। আমাকে বলা হলো হ'ত্যা করা হবে সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর সেখানে থাকতে। আমি রাজি হলাম না। তখন আমাদের কাছে লাইসেন্স করা অ'স্ত্র ছিল। আমরা ভাবলাম, আসুক, ওরা হাজার আসলেও আমরা দুই জনই যথেষ্ট। আমি ভেবেছিলাম সামনে থেকে কেউ গু'লি করে মারবে। ১৬ জুন ২০০১ সালে বো'মা মারা হয়েছিল। আমার ২০টা ছেলের লাশ টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয়েছিল।