এমটিনিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আগামী দিনের সময় খুব খারাপ। সামনে একটা লড়াই হবে। এই লড়াই হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন লড়াই। এই লড়াইয়ে নারায়ণগঞ্জ যেন সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে, আপনারা শুধু এই দোয়া করবেন।’
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পূজা উৎযাপন পরিষদের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘যারা দেশে বিদেশে বসে কিংবা এসব ষড়যন্ত্রে যারা মনে করছেন, বাংলাদেশকে আবারও একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করবেন কিংবা করতে চান- তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা আমাদের সঙ্গে খেলায় উপযুক্ত হননি।
আপনাদের সঙ্গে খেলবো না। ছোট বেলায় বাবা-মা শিক্ষা দিয়েছে। ভালো মানুষের সাথে খেলাধুলা করবা। খারাপ মানুষের সঙ্গে খেলবা না। ওদের সঙ্গে কী খেলবো, চোর-বাপটার সব একদিকে হয়েছে।
বিদেশে বসে বসে বোম মারায়, একুশে আগস্টের ঘটনা ঘটায়। তবে আপনারা যদি খারাপ খেলা খেলেন- আমরা ভালো ছেলেরা মাঠ দখল করার জন্য যদি নামি- আমাদের ছেলেদের দরকার নেই আমাদের মহিলারা যদি মাঠে নামে- শলার ঝাড়ু দিলে আপনারা সাফ হয়ে যাবেন। কেউ কিছু করতে পারবেন না। কারণ শেখ হাসিনার ওপরে আল্লাহর রহমতের চাদর আছে।’
এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। অথচ এখনও ওই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বাংলাদেশে দুটো দল। একটা আওয়ামী লীগ আরেকটা অ্যান্টি আওয়ামী লীগ। আমরা শেখ হাসিনার কাছে চাইতেই আছি।
আমরা কী দিয়েছি তাকে। তার বাবা বলেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। পাকিস্তানিরা তাকে মারতে সাহস পায়নি। তাকে মেরেছি আমরা। তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য এসেছিলাম। আজ যদি শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা বেঁচে না থাকতেন তাহলে কী হতো।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সিটি করপোরেশনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, মানুষ ট্যাক্স দেয়- ঢাকা সিটি করপোরেশন যদি ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করতে পারে আপনারাও করবেন। ঈদুল ফিতরে তো আমরাই করি। আর নারায়ণগঞ্জে একটা দেবোত্তর সম্পত্তি আছে। আমি শুধু বলবো, আদালতে এটা বিচারাধীন রয়েছে। আদালত অবশ্যই ন্যায় বিচার করবেন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, সহ-সভাপতি ডি এন চ্যাটার্জি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, বাংলাদেশ ইয়ান মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা, বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহাসহ আরও অনেকে।