নিউজ ডেস্ক : প্রমাণাদি উপস্থাপন ঘোষণা দিয়ে করা সংবাদ সম্মেলন সেলিম ওসমান বলেছেন, ‘আমার কাছে অনেক প্রমাণদি ছিল। সেগুলো আমি সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলাম। আমার দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশে সেই সংবাদ সম্মেলন করতে বিরত হই। এরশাদ স্যারকে আমি কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেলিম তো আল্লার ওলি হয়ে গেছ! দেশের কোটি কোটি মানুষ তোমার জন্য দোয়া করছে। সংবাদ সম্মেলন করে কী হবে। তোমার জন্য মানুষ দুই হাত তুলছে। তোমার সঙ্গে দেশের মানুষ আছে, তোমার সঙ্গে আমি আছি, জাতীয় পার্টি আছে, আল্লা আছে। তুমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আছো, থাকো। এখন এসব নিয়ে কথা বলতে যেও না।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত লাঞ্ছনার ঘটনায় নিজের অবস্থানের বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আবেগ আপ্লুত হয়ে সেলিম ওসমান বলেন, ‘১৩ মে রাতে আমার থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যেতে পারি নাই। আমার ওষুধ শেষ, মেডিক্যাল চেকআপ করানো প্রয়োজন, করতে পারছি না। আমি জমজমের পানি খেয়ে ওষুধের কাজ চালাচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত বন্দরের ঘটনার পরিপূর্ণ সুরাহা না হবে ততদিন পর্যন্ত আমি জমজমের পানি খেয়েই ওষুধের কাজটি চালাবো।’
সভায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, ব্যবসায়ী সমাজ, সর্বদলীয় রাজনৈতিক নেতা, শ্রমিক নেতা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতি, নারায়ণগঞ্জ মহিলা সংস্থা ও নারী নেত্রী, নারায়ণগঞ্জ শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি এবং শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে গণপিটুনি দেয়ার পর কান ধরে উঠবস করান এমপি সেলিম ওসমান। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
২৭ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম