নারায়ণগঞ্জ : জেলার ফতুল্লায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ার কারণেই ব্যান্ড শিল্পি হাসান ইসলাম সুমনকে ছুরিকাঘাতে খুর করে তার স্ত্রী সায়মা।
রোববার বিকেলে আদালতে সায়মা তার স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান ১৬৪ ধারায় সায়মার দেয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির যুবক সালাউদ্দিনের সঙ্গে ৬ মাস আগে সায়মার পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। এরপর বিভিন্ন স্থানে তাদের দেখা-সাক্ষাতও হয়। বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে সালাউদ্দিনের পরিবারের লোকজন বিষয়টি জেনে সায়মার স্বামী সুমনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্টুডিওতে গিয়ে সুমনকে হুমকি দেয়। এ নিয়ে সুমন ও সায়মার মধ্যে ঝগড়া হয়।
এতে সায়মাকে ফেসবুক থেকে বিরত রাখে সুমন। পরে সায়মাকে ফেসবুকে না পেয়ে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে প্রায় মোবাইলে কথা বলতেন সালাউদ্দিন।
বিষয়টি সালাউদ্দিনের পরিবারের লোকজন জানতে পেরে সুমনকে তার স্টুডিওতে আবারো লাঞ্ছিত করে। এতে সুমন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এরপর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সায়মাকে ফোন দেয় সালাউদ্দিন। এ নিয়ে ফের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে পেছন থেকে সুমনকে ছুরিকাঘাত করে সায়মা।
পরে লাশ নিয়ে শহরের ৩০০ শয্যাবিশিস্ট খানপুর হাসপাতালে ফেলে পালানোর সময় রাত ২টায় স্ত্রী সায়মাকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা।
আদালত পুলিশের এসআই গোলাম হোসেন এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শনিবার বিকেলে সায়মাকে দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে রোববার সায়মা দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
নিহত সুমন ফতুল্লার নন্দলালপুর কবরস্থান রোড এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। সায়মা ফতুল্লার দেওভোগ আখড়া এলাকার সোবহানের মেয়ে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মজিবুর রহমান বলেন, সায়মার দেয়া জবানবন্দি পর্যালোচনা করে সালাউদ্দিন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৫ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম