নারায়ণগঞ্জ : ধর্মীয় অবমাননার নামে লাঞ্ছনার শিকার নারায়ণগঞ্জ পিয়ার সাত্তার লফিত উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
রোববার সকাল ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ নগরীর খানপুরের ভাড়া বাড়ি থেকে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল কড়া নিরাপত্তায় শ্যামল কান্তি ভক্তকে প্রায় দুই মাস পর স্কুলে নিয়ে যায়।
এ কথা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. জাকারিয়া।
তিনি বলেন, শ্যামল কান্তি ভক্ত তার ভাড়া বাড়িতে পুলিশ পাহারায় ছিলেন। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে রোববার সকালে নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেছেন।
‘সেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা তার নিরাপত্তার সকল রকম ব্যবস্থা করেছি।’
যোগদানের পর শ্যামল কান্তি সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন পর স্কুলে ফিরলাম। এ জন্য আনন্দ লাগছে। স্বাভাবিক নিয়মে আমি কাজ করে যেতে আগ্রহী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে যোগদান করেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের স্বার্থে আগের মতোই তিনি তার দায়িত্ব পালন করবেন। তবে স্কুলের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কিত।
শ্যামল কান্তির স্ত্রী সবিতা রাণী ভক্ত বলেন, সে (শ্যামল কান্তি ভক্ত) আগের মতো তার চাকরি ফিরে পেয়েছে, এতে আমি আনন্দিত। সরকার আমাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে।
বন্দর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক তার কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। বিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
গত ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যাণদীতে পিয়ার সাত্তার লফিত উচ্চ বিদ্যালয়ে ধর্মের নামে কটূক্তির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে শাররীক নির্যাতন এবং স্থানীয় জাতীয় পার্টির (এ) সাংসদ সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে কান ধরে ওঠবস করানো হয়।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড় হয়।
ঘটনার পরপরই শ্যামল কান্তি ভক্তকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে সাত দিন চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গত ৯ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পুলিশ প্রহরায় তাকে নগরীর নগর খানপুরের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
১০ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম