নারায়ণগঞ্জ : আবেদন না রাখায় মামীসহ ৫ জনকে খুন করেছে ঘাতক ভাগ্নে। দুই মামাতো ভাই-বোন ও মামীসহ ৫ জনকে নৃশংসভাবে খুন করে ভাগ্নে মাহফুজ।
আদালতে মামলার বাদী নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
১২ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত একমাত্র আসামি ভাগ্নে মাহফুজ কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে ওই সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, মঙ্গলবার মামলার বাদী শফিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
পরে শুনানি শেষে আদালত ৩১ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য করেন। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে বাদী শফিকুল ইসলামকে জেরা করেন জেলা লিগ্যাল এইডের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতানুজ্জামান।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি রাতে শহরের বাবুরাইল এলাকা থেকে তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ছোটভাই মোরশেদুল (২২) ও তার জা লামিয়া (২৫) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন ১৭ জানুয়ারি সকালে নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাগ্নে মাহফুজ, ঢাকার কলাবাগানের নাজমা ও শাহজাহানের নাম উল্লেখ করে তাদের সন্দেহ করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওইদিন রাতেই মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তার করা হয় শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মাহফুজ ও নাজমাকে।
পরে ২১ জানুয়ারি আদালতে মাহফুজ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতে মাহফুজ স্বীকারোক্তি ছিল অনেকটাই গা শিউরে উঠার মত।
মামীর সঙ্গে একই বিছানায় রাত কাটাতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষোভ থেকেই একে একে ৫ জনকে হত্যা করা হয়। মাত্র ৪ ঘণ্টার ওই কিলিং মিশনে প্রথমে তাসলিমা ও সবশেষ হত্যার শিকার হয় স্কুল ছাত্র মো. শান্ত।
এর মধ্যে তাসলিমা, লামিয়া ও মোর্শেদুল মোশাররফকে মাথায় শিলপাটার পোঁতা দিয়ে আঘাত করে এবং শান্তকে দেয়ালে আঘাত করে হত্যা করে।
আঘাতের পর শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। শিশু সুমাইয়া মারা যায় শিলের আঘাতে।
১২ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম