নিউজ ডেস্ক: সেই রাজহাঁসটি মাত্র ৫শ টাকায় বিক্রি করেছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার গাংধরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুদ। তবে হাঁস বিক্রির টাকায় এখনও কোনো পোশাক কিনেনি সে। কারণ ইতোমধ্যে তার বাড়িতে অনেকেই পোশাক নিয়ে হাজির হয়েছেন।
ঈদের পোশাক কিনতে ছোট্ট মাসুদের প্রিয় হাঁস বিক্রির খবর ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন তার উপজেলার সন্ধ্যাওয়ালা গ্রামের বাড়িতে। সে ওই গ্রামের কৃষক আলফত আলীর ছেলে।
মাসুদকে নিয়ে বুধবার কত টাকায় বিক্রি হলো মাসুদের রাজহাঁসটি! শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই তাকে পোশাক কিনে দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। মাসুদ জানাল, মাত্র ৫০০ টাকায় হাঁসটি বিক্রি করেছে সে। কিন্তু সেই টাকায় এখনও কোনো পোশাক কিনেনি। কারণ ইতোমধ্যে অনেকেই তাকে কিছু নগদ টাকা ও কয়েকটি পোশাক কিনে দিয়েছে।
মাসুদের বড় বোন মারুফা জানান, হাঁসটি সে গত সোমবার স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেছে। কিন্তু আজ লোকজন তাদের মোবাইল নম্বরে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন তাদের বাড়িতে গেছে মাসুদের সঙ্গে দেখা করতে। অনেকে বিকাশে টাকাও পাঠাতে চেয়েছেন।
মাসুদের চাচা হোসেন মিয়া জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর সন্ধ্যায় কলমাকান্দা থানা পুলিশের ওসি দুজন এসআই পাঠিয়েছিলেন বাড়িতে। তিনি (ওসি) মাসুদ, তার ছোট ভাই ও তার মায়ের জন্য শাড়ি পাঠিয়েছেন। এসময় মাসুদের হাতেও কিছু টাকা দিয়েছেন তারা। এসময় তারা মাসুদের পরিবারের সবার ছবি তুলে নিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, মাসুদের বাবা গ্রামের একজন সাধারণ কৃষক। অভাবের সংসার তাদের। বাবার কাছে কয়েক দিন ধরেই পোশাক কিনতে চাচ্ছিল সে। তার বাবা দিতে না পারায় একমাত্র প্রিয় হাঁসটি মাত্র ৫শ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে সে।
কোনোভাবে মাসুদের বিক্রি করা হাঁসটি টাকা দিয়ে ক্রেতার কাছ থেকে ফেরত নেয়ার সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কার কাছে বিক্রি করেছে সেটা জানি না? যিনি কিনেছেন তিনি ফেরত দেবেন কিনা সেটাও ভাবার বিষয়।