নেত্রকোনা: নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের জিম্মি করে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। লজ্জা ও ঘৃণা প্রকাশের পাশাপাশি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নির্যাতিতাদের পরিবার। গত ১০ জুন থানায় মামলা হওয়ার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত শিক্ষক আইন উদ্দিন। পুলিশ বলছে, অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান চলছে।
ভয়ঙ্কর এই ঘটনা জানাজানির পর বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে কমে গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। জীবন গঠনের পাঠ নিতে এসে শিক্ষকের হাতেই সভ্রম আর জীবননাশের হুমকির ভয়ঙ্কর বাস্তবতার শিকার মাধ্যমিকের একাধিক ছাত্রী। মূল অভিযোগ নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইন উদ্দিনের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে গরিব ও মেধাবী ছাত্রীদের নানা কৌশলে জিম্মি করে নিজ কক্ষে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন তিনি। তার কুকর্ম দেখে ফেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাথরুমে বেঁধে রেখে শ্লীলতাহানির পর তাকে হত্যারও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ উঠে আইন উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
হত্যাচেষ্টার শিকার দ্বিতীয় ছাত্রী বলেন, 'উনি শিক্ষাগুরু হয়ে কীভাবে আমাকে প্রস্তাব দেয়? আমাকে অনেক টর্চারও করেন।মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেক নির্যাতনও করেন।'
গত ৩ জুন নির্যাতিতা বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে হত্যাচেষ্টার লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ১০ জুন তারই সহায়তায় থানায় মামলা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, 'বিষয়টি যদি প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি নিশ্চিত করবো।'
পুলিশ জানায়, মামলার পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এদিকে ঘটনা তদন্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম খানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। কমিটিকে ১৬ জুন থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।