নিউজ ডেস্ক : পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও ওজনবিশিষ্ট পাখি হলো উটপাখি। খেয়ে থাকে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক উটপাখি খাদ্যগ্রহণে প্রায়ই সচেতন থাকে না। অনেক সময় এরা অনেক অখাদ্য বস্তু খেয়ে থাকে। তবে তাঁরকাটা, চা চামচ, কয়েন, টিনের চাকতি, নাট-বোল্ট, বিভিন্ন আকৃতির প্লাস্টিক ও কাচের টুকরো, চিপস, ও চকলেটের প্যাকেট এবং পাথর ও ইটের টুকরো খাওয়ার ঘটনা অবিশ্বাস্য।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার এক চিড়িয়াখানায় থাকা মাত্র আট মাস বয়সী দুটি উট পাখির মধ্যে। নানাবিধ লৌহ জাতীয় বস্তু খেয়ে ফেলায় পাখিদুটি সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিল। নেত্রকোনা থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অবস্থিত ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যায় একটি পাখি। অন্যটিকে হাসপাতালে আনা হলে পরীক্ষার মাধ্যমে পাখিটির পাকস্থলিতে অখাদ্য বস্তুর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। সংকটাপন্ন পাখিটিকে বাঁচাতে ভেন্ট্রিকুলোস্টমি অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে সফলতা পেয়েছেন ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালের পরিচালক এবং সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলম ও তার দল। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালে এ অস্ত্রোপাচারে সফলতা পান অস্ত্রোপাচার দল। এ দলে অন্যান্য সদস্যরা হলেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মাহমুদুল আলম, ড. রুখসানা আমিন রুনা ও ডা. মোহাম্মদ রাগীব মুনীফ।
চিকিৎসক দল জানায়, কয়েক ঘণ্টার অস্ত্রোপাচারের পর পাখিটির পাকস্থলি থেকে ৪১ টি তাঁরকাটা, ১টি চা চামচ, ১টি প্লাস্টিক সিরিঞ্জ, ১টি প্লাস্টিক পেনিয়াম, ২টাকা ও ৫টাকার কয়েন, ১২টি টিনের চাকতি, ৫টি নাট-বোল্ট, বিভিন্ন আকৃতির প্লাস্টিক ও কাচের টুকরো, চিপস্ ও চকলেটের প্যাকেটের খণ্ড এবং অসংখ্য পাথর ও ইটের ছোট ছোট টুকরো বের করা হয়। যার মোট ওজন প্রায় দেড় কেজি।