নেত্রকোণা থেকে : নারীদের উত্ত্যক্তকরণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবার খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যিনি এর আইনি বিহিত করেন তিনিই উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে।
ইউএনও ফারজানা খানমকে ইভটিজিংয়ের দায়ে তিনি নিজেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক যুবককে এক মাসের বিনাশ্রম কা*রাদণ্ড দিয়েছেন। দণ্ডিত যুবকের নাম শিমুল শেখ। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বারআনি গ্রামের মাহতাব শেখের ছেলে।
দুর্গাপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, রোববার বিকালে ঢাকা থেকে বিআরটিসি বাসে কর্মস্থল দুর্গাপুরে আসছিলেন ইউএনও। পথে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের শ্যামগঞ্জ মোড় থেকে ওই বখাটে যুবক বাসটিতে উঠেন। বাসে উঠার পর থেকেই যুবকটি ইউএনও ফারজানা খানমকে নানাভাবে উত্যক্ত করছিলেন।
বখাটেপনা না করতে ইউএনও ওই যুবকটিকে নিষেধ করেন। বাসের হেলপারও শিমুলকে নিষেধ করেন। কিন্তু শিমুল তাতে কর্ণপাত না করে উত্যক্ত করতে থাকেন। পরে ইউএনও বিষয়টি থানায় জানালে বাসটি দুর্গাপুর বাসট্যান্ডে থামার পর শিমুলকে গ্রে*প্তার করে পুলিশ। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শিমুলকে এক মাসের কারাদ*ণ্ড দিয়ে কা*রাগারে পাঠায়।
এদিকে, সোমবার ফারজানা খানম বলেন, 'ওই তরুণের সঙ্গে আমার কোনো ধরনের ঝামেলা হয়নি। ঢাকায় থেকে রোববার বিকালে বিআরটিসির বাসে করে কর্মস্থল দুর্গাপুরে আসছিলাম। পথে শ্যামগঞ্জ মোড় থেকে শিমুল শেখ(২৫) নামে এক তরুণ বাসে ওঠেন। তার কিছুক্ষণ পর বাসের এক সহকারীর সঙ্গে তার তর্ক-বিতর্ক হয় ও পরে মারধর করে। এমনকি বাসের অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করে ওই তরুণ। আমার সামনেই ঘটনাটি ঘটে।'
তিনি আরো বলেন, 'আমার মনে হয়েছে বিষয়টি ভ্রামামাণ আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। তাই আমি তাদের বিষয়টি জানাই। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই তরুণকে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়।'