নেত্রকোনা : হোটেলে ঈদের বাসের যাত্রাবিরতিতে গৃহবধূকে (১৮) ছয়জন মিলে ধ'র্ষণ করেছে। বাড়ি পৌঁছার আগেই এমন ঘটনার শিকার হওয়ায় ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে ওই গৃহবধূর। এ অবস্থায় কাঁদছেন ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী।
শনিবার ভোররাতে নেত্রকোনার চল্লিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে গৃহবধূকে গ'ণধর্ষ'ণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোররাতে ঢাকা থেকে স্বামীর সঙ্গে নিজ বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। গৃহবধূর স্বামী ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ঈদের ছুটিতে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।নেত্রকোনার চল্লিশা এলাকার সারিন্দা হোটেলে যাত্রাবিরতি তাদের বাস। এ সময় হোটেলের বাথরুমে যান গৃহবধূ। তখন কয়েকজন যুবক কৌশলে গৃহবধূর স্বামীকে সারিন্দা হোটেলে আটকে রাখে। পাশাপাশি আরও কয়েকজন যুবক গৃহবধূর বাথরুমের সামনে অবস্থান নেয়।
কিছুক্ষণ পর গৃহবধূ বাথরুম থেকে বের হলে সারিন্দা হোটেলের ম্যানেজার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের ফিরোজ আলী মেম্বারের ছেলে এনামুল হক সম্রাটের (২৭) নেতৃত্বে গৃহবধূকে তুলে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যায় পাঁচ যুবক। সেখানে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধ'র্ষ'ণ করে ছয়জন।
গৃহবধূকে গ'ণধর্ষ'ণকারী ছয় ব্যক্তি হলো- ফিরোজ আলী মেম্বারের ছেলে এনামুল হক সম্রাট, একই এলাকার কালা মিয়ার ছেলে জিহান (২৭), শামছুল হকের ছেলে রাসেল (৩০), মজলিস উদ্দিনের ছেলে বাশার (২৭), জামাল উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম পাভেল (২৮) ও শামছুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩০)।
খবর পেয়ে এরই মধ্যে শামছুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম, জামাল উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম পাভেল, মজলিস উদ্দিনের ছেলে বাশার ও ফিরোজ আলী মেম্বারের ছেলে এনামুল হক সম্রাটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ গৃহবধূকে গ'ণধর্ষ'ণের কথা স্বীকার করেছে তারা।