মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০১৯, ০১:০১:০৭

বিয়ে করাটাই তার পেশা, ৬০ নম্বর বিয়ে করেই ধ'রা খেলেন আবু বক্কর

বিয়ে করাটাই তার পেশা, ৬০ নম্বর বিয়ে করেই ধ'রা খেলেন আবু বক্কর

নেত্রকোনা : বিয়ে করাটা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। আর এজন্য নিজেকে কখনও ব্যবসায়ী, কখনও রিপ্রেজেন্টেটিভ, কখনও ঊর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন। যদিও তার আসল পেশাই হচ্ছে বিয়ে করা!

ভু'য়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে একে একে মোট ৬০টি বিয়ে করেছেন তিনি। তবে ষাট নম্বরে গিয়ে গ'ড়ব'ড় করে বসেন তিনি। শেষ স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আবু বক্কর (৪৫) নামের ওই ব্যক্তি।

পুলিশ জানায়, অস'হা'য় মেয়েদের বিয়ে করে টাকা হা'তি'য়ে নেয়ায় ছিল বক্করের নে'শা, পেশা। ব'হুবিয়ের ধারাবাহিকতায়, সবশেষে নেত্রকোনার পূর্বধলায় মাস্টার্স পড়ুয়া রোজী বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করে তিনি। ৬০তম স্ত্রীর এই মামলায় ধ'রা পড়েন প্র'তা'র'ক বক্কর।

জানা গেছে, শেষ স্ত্রী রোজীর এক আত্মীয়ের সঙ্গে আবু বক্কর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ওই এলাকায় যাতায়াত করতেন। আবু বক্কর একটি ওষুধ কোম্পানির জেলা এরিয়া ম্যানেজার ও অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে জামালপুরের একটি ভু'য়া ঠিকানা দিয়ে চলতি বছরের আগস্টে রোজীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর রোজীর বাড়িতেই বসবাস করতে থাকেন আবু বক্কর।

এর মাঝে রোজীর পরিবার থেকে যৌ'তু'কের টাকা দাবি করে না পেয়ে আবু বক্কর কৌ'শলে শ্যালককে ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে স্ত্রী রোজীর পরিবার খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে ভু'য়া ঠিকানা ব্যবহার করে বিয়ের নামে প্র'তার'ণা করেছেন আবু বক্কর।

এ ঘটনায় রোজী বেগম বাদী হয়ে প্র'তা'র'ক বক্করের বিরুদ্ধে নেত্রকোনার পূর্বধলা থানায় নারী ও শিশু নি'র্যা'তন দ'ম'ন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

রোজীর করা মামলার প্রেক্ষিতে পূর্বধলা থানা পুলিশ অ'ভি'যা'ন চালিয়ে গত শনিবার রাতে জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় ওই উপজেলার সভারচর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বক্করকে আ'ট'ক করে। আ'ট'ক আবু বক্কর ওই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে।

আবু বক্কর বলেন, তিনি ৬০টি বিয়ে করলেও তার সন্তান রয়েছে সাতটি। শুধু টাকার লো'ভে এই এতগুলো বিয়ে করেছেন। সব জায়গায় টাকা পাওয়ার পরই ফে'লে এসেছেন বিবাহিত স্ত্রীদের। তবে নিজ উপজেলা ইসলামপুরের ঠিকানা তিনি কখনোই ব্যবহার করতেন না। রোজীদের বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে নিজের বাড়িতে প্রথম স্ত্রী সাজেদা বেগমসহ দুই স্ত্রী ও সাত সন্তানের সঙ্গে ছিলেন।

পূর্বধলা থানার ওসি মো. তাওহিদুর রহমান জানান, প্র'তা'র'ণার মাধ্যমে আবু বক্কর ৬০টি বিয়ে করার কথা স্বী'কার করেছেন। রোজী খানমের মামলায় ইসলামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে আ'ট'ক করে নেত্রকোনার পূর্বধলা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। যুগান্তর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে