নেত্রকোনা: নেত্রকোনায় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে গৃহবধূকে জিম্মি করে চার বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার বিশ্বজিৎকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) মামলা দায়ের পরই গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিৎকে। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখে তাকে কারাগারে পাঠান।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার মডেল থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করে। বিশ্বজিৎ নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের কৃষ্টপুর গ্রামের রঞ্জন মোহন খানের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম পোর্ট এলাকায় টোল আদায়কারী একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ গৃহবধূর ফুফাতো দেবর। এজন্য তার ওই গৃহবধূর বাড়িতে যাতায়াত ছিল। ২০১৬ সালের কোনো একদিন কাজ সেরে গোসল করার সময় দেবর বিশ্বজিৎ গোপনে ভিডিও ধারণ করেন। এর পর থেকে এগুলো ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর একদিন শরবত পান করিয়ে তাকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন এবং সেই ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে এগুলো দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হওয়ার কয়েকদিন পর গৃহবধূর স্বামী ও ভাসুরের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করেন বিশ্বজিৎ।
এ ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুর বাদী হয়ে তখন মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখান এবং তা না করায় গৃহবধূর নগ্ন ছবি তার স্বামীর মোবাইলে পাঠান। পরবর্তীতে এগুলো এলাকার অন্যান্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন বিশ্বজিৎ।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে আগের একটি মামলা রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত পরবর্তী তারিখে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন।