রাতে বাড়ি থেকে চুরি হয় সেলিম মিয়ার গরু। পরে গরুটি খোঁজাখুঁজি শুরু করলে একপর্যায়ে জানতে পারেন কয়েকজন চোর গরুটি পিকআপ ভ্যানে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তিনি ওই পিকআপ ভ্যানটির পিছু নেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গরুটিসহ চোর এবং তার সহযোগীদের আটক করে। এরপর থানায় গরু আনতে গিয়ে দেখেন গরু চোর তার ছেলে সোহাগ মিয়া।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ সেলিম মিয়ার বাড়িতে চুরির এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন চোর সোহাগ মিয়া (২৮), তার সহযোগী মিলন মিয়া, পিকআপচালক ইসলাম উদ্দিন ও তার সহকারী আব্দুল্লাহ। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নেত্রকোনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সেলিম মিয়া জানান, গরুটির আনুমানিক বাজার মূল্য হবে ৮০ হাজার টাকার মতো। শনিবার রাত দেড়টার দিকে সেলিম মিয়া গোয়াল ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। ঘরে গিয়ে দেখেন গরুটি নেই। পরে গরুটি খোঁজাখুঁজি শুরু করলে একপর্যায়ে জানতে পারেন কয়েকজন চোর গরুটি পিকআপভ্যানে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় তিনি ওই পিকআপভ্যানটির পি'ছু নেন এবং পুলিশকে খবর দেন। ভোররাতেই পার্শ্ববর্তী আটপাড়া থানার পুলিশ উপজেলার দুর্গাশ্রম চৌরাস্তা মোড় এলাকায় গরু ভর্তি পিকআপসহ চার জনকে আটক করে। পরে রবিবার দুপুরে কেন্দুয়া থানা পুলিশের কাছে আটকদের হ'স্তা'ন্তর করা হয়। ততক্ষণেও সেলিম মিয়া জানতে পারেননি আটক গরু চোর তার ছেলে ও সহযোগীরা।
সেলিম মিয়া বলেন, শনিবার দুপুরে সোহাগ ঢাকার যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে জানতে পারলাম আমার ছেলেই এই চুরি করেছে। ল'জ্জা'য় এখন এলাকায় মুখ দেখাতে পারছি না। ছেলে আমার মান-সম্মান সব শেষ করে দিয়েছে।
কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার বিকেলে নেত্রকোনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।