নোয়াখালী থেকে : জেলা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী জেলা বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে দুই পক্ষের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতবোমা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
তাদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। এতে জেলা বিএনপির সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেছে।
আহতরা হলেন, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্র দলের আকবর হোসেন, আজমির, রুবেল, শামু, রানা, পাবেল, শরিফ ও জাবেদ। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত বছর পর বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিএনপির সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেওয়া শেষ করলে বিকাল ৫টার দিকে প্রধান অতিথির বক্তব্য হিসেবে মওদুদ আহমদে বক্তব্য দেন।
এ সময় হঠাৎ করে শিল্পকলার হলরুমের বাহিরের জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি প্রার্থী হারুনুর রশিদ আজাদের কয়েকজন সমর্থক অপর সভাপতি প্রার্থী মাহাবুব আলমগীর আলোর সমর্থকদের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হারুন সমর্থকরা আলো সমর্থক ও নোয়াখালী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমানের মাথায় আঘাত করে। মুহুর্তেই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এক পর্যায়ে একটি গ্রুপ হলরুমের পেছনের বন্ধ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ার ভাঙচুর করে। পরে সম্মেলনের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মাইকে হামলাকারীদের শান্ত হওয়ার নির্দেশ দিলেও তারা শোনেননি। এ সময় হামলাকারীরা কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সামনের টেবিলও ভাঙচুর করে।
এদিকে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনায় শিল্পকলা একাডেমিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কিছুটা গোলযোগ হয়েছে। তাই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সিল অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে। শীঘ্রই কাউন্সিল অধিবেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহ্জাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্ল্যাহ বুলুর সহধর্মীনি লাকি বেগম। সম্মেলনে পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ আজাদ।
অপরদিকে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাউন্সিল অধিবেশন স্থগিত করায় এবং হামলার প্রতিবাদে সভাপতি প্রার্থী মাহাবুব আলমগীর আলোর সমর্থকরা জেলা শহর মাইজদীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে শহরের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস