নোয়াখালী থেকে : ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ থেকে হাত বোমা বিস্ফোরণ! ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সেনবাগ সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মিলাদ মাহফিল ও প্রবেশপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান পণ্ড! বিবদমান ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। এসময় ১০/১২টি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এ ঘটনায় ওই মিলাদ অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মোঃ রোহান উদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অন্য আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে হতাহতের বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপই গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যায়।
মিলাদ মাহফিল ও প্রবেশপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান পণ্ড হওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো:মকবুল আহমেদ। এছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজের মিলাদ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিএনজি যোগে এমপি মোরশেদ আলম গ্রুপের অনুসারী ছাত্রনেতা ইকবাল বাহার চৌধুরী, মাজেদুল হক তানভির ও নুর হোসেন, রাশেল ও বাবর ডাকবাংলা এলাকায় পৌঁছলে প্রতিপক্ষ মেয়র টিপু সমর্থক গ্রুপের তোপের মুখে পড়েন তারা।
এ খবরটি এমপি গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তারাও শক্তি সঞ্চয় করে ডাকবাংলা মোড়ে জড়ো হয়ে মেয়র গ্রুপের লোকজনকে ধাওয়া দেয়। এসময় উভয় গ্রুপ একে অপরের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টা ও দুপুর দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কবির, আলী আক্কাস রতন, আবু নাছের প্রকাশ ভিপি দুলাল, ফিরোজ আলম রিগান ও তানভিরের নেতৃত্বে এ ঘটনার প্রতিবাদে মোরশেদ আলম অনুসারী ছাত্রলীগ একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে।
এসময় ১০/১২টি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকান পাট বন্ধ করে দেয় এবং বাজারে ভয়ে পথচারীদের পালাতে দেখা গেছে। এ ঘটানার পর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস