নোয়াখালী থেকে: নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর মোহনার বোয়াখালি সূর্যমুখী খালের পাড় থেকে রবিবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের ওয়ার্ড নেতা বাহার উদ্দিন সর্দারের (৪০) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন।
সে চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ শুল্লাকিয়া গ্রামের আলী আহাম্মেদ ছেলে। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষর সংঘর্ষর সময় প্রতিপক্ষর সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেবার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
নিহতর স্বজনরা জানায়, গত ১৩ এপ্রিল চর কিং ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিনের সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে নদীতে ফেলে দেয়।
রবিবার মেঘনা নদীর জেলেরা মাছ ধরার সময় মেঘনা নদীর বোয়ালখালী এলাকার সূর্যমুখী খালে তার মৃতদেহ ভেসে ওঠায় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাদেরকে ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের উপদষ্টো ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, নিহত বাহার সর্দার চর কিং ইউনিয়নে ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল।
গত ৩০ বছর ধরে বাহার সর্দার ও তার পরিবারের লোকজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি তার সমর্থক হওয়ায় সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে নদীতে ফেলে দেয়।
অপরদিকে হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চর কিং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহাম্মেদ জানান, বাহার সর্দার কখনো আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না এবং যে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
হাতিয়া থানার ওসি আবদুল মজিদ জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন মেঘনা নদীর মোহনার বোয়ালখালি সূর্যমুখী খালের পাড় থেকে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সে চর কিং ইউনিয়নের দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামের আলী আহাম্মেদ ছেলে বাহার সর্দার (৪০)। লাশ ময়নাতদন্তর জন্য মর্গে পাঠানো হবে। তবে সে কার সমর্থক কিংবা কোন দলের সাথে জড়িত তা তিনি জানাতে পারেননি।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এম.জে