নোয়াখালী থেকে : বার্ধক্যজনিত কারণে দুপুরে মৃত্যুবরণ করেন ফুফু (৪৫)। রাত ৮টায় জানাজা শেষে ফুফুকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বিকাল থেকে কবর খোড়াসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্নও করা হয়, যেহেতু দাফন রাতে হবে তাই বাকি রইল কবরের পাশে একটি বৈদ্যুতিক বাতি লাগিয়ে আলোর ব্যবস্থা করার কাজ। চেয়েছিলেন নিজেই ফুফুর কবরে পাশে বাতি লাগানোর কাজটি করবেন।
ফুফুর কবরে বাতি দিতে গিয়ে প্রাণ গেল ভাতিজার। সন্ধ্যায় নিজেদের ঘর থেকে একটি বিদ্যুতের তার কবরের পাশে নেয়ার সময় অসাবধানতাবসত তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ যায় মো. সাঈদী নামে এক কিশোরের। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সাঈদী ওই এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় শরাফাতিয়া ফাজিল মাদ্রসার দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাঈদীর ফুফু দুপুরে মৃত্যুবরণ করেন। পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় রাত ৮টায় কবর দেয়া হবে। সেই সুবাদে সাঈদী কবরের পাশে বাতি দেয়ার জন্য বিদ্যুতের সংযোগ দিতে গিয়ে তারের সাথে জড়িয়ে গেয়ে অচেতন হয়ে যায় সাঈদী। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৮টার সময় সাঈদীর ফুফুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় সাঈদীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস