নোয়াখালী: বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কারণে উখিয়া-টেকনাফের বন ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে উল্লেখ করে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম শাহ কামাল বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে সরিয়ে নেয়া হবে বলে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ২/২ রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আয়োজিত দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি মহড়ার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন সচিব।
তিনি বলেন, আবাসন করতে গিয়ে নিজস্ব আকৃতি হারিয়েছে বিপুল পরিমাণ পাহাড়। তাই সামনের বর্ষা ও বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, পাহাড়ধস ও ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে স্থানীয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ সশস্ত্র ও সরকারি বিভিন্ন বাহিনী এবং বিভিন্ন সংস্থা প্রস্তুতিমূলক কাজ করছে।
শাহ কামাল আরও বলেন, বিশাল পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয়ায় বন ও পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে নানা প্রকল্প চালুর চিন্তা করছে সরকার। রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের পর খালি জায়গায় নতুন করে বনায়ন করে আগের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
মহড়ায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আনসার, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, বিএসসিসি, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় রোহিঙ্গারা মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সেনাবাহিনীর কক্সবাজারস্থ ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামাল হোসেন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী ও উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের প্রমুখ।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস