নোয়াখালী: বরাবরের মতো ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত নোয়াখালী-৫ আসন। আওয়ামী লীগের হয়ে এ আসনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ও বিএনপি’র টিকিটে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে আগামী নির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। আর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকলে আসনটি পুনরদ্ধারের ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী বিএনপি।
কোম্পানিগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা নিয়ে গঠিত নোয়াখালী পাঁচ আসন। এ আসন থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বরাবরই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাইতো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা বেড়েছে। আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত থাকায় স্বস্তিতে আছে ক্ষমতাসীন দল। ১৯৯৬, ২০০৮ ও সবশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসনে জয়ী হন বর্তমান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান বলেন, উন্নয়ন ও শান্তির জন্য অতীতের চেয়েও এ এলাকার মানুষ ওবায়দুল কাদেরকে ভোট দিবেন।
আওয়ামী লীগের মতো এ আসনে বিএনপির প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত। তবে দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকায় আসনটি পুনুরুদ্ধারে সচেষ্ট বিএনপি। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১ ও বিএনপির টিকিটে ২০০১ সালে নির্বাচিত হওয়া, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এবারও মনোনয়ন পেতে পারেন।
নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে আমাদের নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বিজয়ী হবেন।
ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনী লড়াইয়ে জয়ী হবার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলের পাশাপাশি এলাকার জনবান্ধব উন্নয়ন।
ভোটাররা জানান, এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়ন করবে। সেই সাথে দুর্নীতি নির্মূল করবে এমন প্রার্থীকে আমরা ভোট দিবো।
নোয়াখালী পাঁচ আসনে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩ শ’ ৩৭ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪ শ’ ৭৬ জন নারী।
সূত্র : সময় সংবাদ