নোয়াখালী থেকে : নিহতদের গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের অনেকের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
গতকাল সকাল থেকে হতাহতদের অনেকের বাড়িতেই স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। কেউ কেউ স্বজনদের কোনো সন্ধানই পাচ্ছেন না, তারা বেঁচে আছেন কি মরে গেছেন তাও জানেন না।
ঘোষকামতা গ্রামের খাসের বাড়িতে একই পরিবারের দুই সহোদর মাসুদ রানা ও রাজুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের এক চাচা ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তারা সকলে ঢাকায় অবস্থান করেন। গ্রামের বাড়িতে রয়েছে নিহতের এক চাচা।
ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ আগুনে নিহতদের মধ্যে সহোদরসহ নোয়াখালীর ৩৪ জন রয়েছেন। নিহতদের সবার বাড়ি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলায়।
সোনাইমুড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক কামাল ১৫ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
চকবাজারের বাসিন্দা, সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর ইউপির মিলন বলেন, ঘটনার সময় নিহতরা সবাই ভবনগুলোতে ছিল। আগুন লাগার পর তারা বের হতে পারেননি। নিহত ১৬ জনের মধ্যে ছয় জনের নাম পরিচয় জানা গেছে।
তারা হলেন- সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর ইউপির মির্জানগর গ্রামের মমিন উল্যাহর ছেলে শাহাদাত হোসেন হিরা, গাউছ মিয়ার ছেলে নাছির উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ঘোষকামতা গ্রামের সহোদর ভাই সাহাব উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা ও রাজু ও বারগাঁও ইউপির কৃষ্ণপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন। অন্য মরদেহগুলো আগুনে পুড়ে বিকৃত হওয়ায় শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
উপজেলার নাটেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন খোকন বলেন, নাটেশ্বর ইউপির ৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সামাদ মানবজমিনকে জানান, নাটেশ্বরের ৭ জনের নাম পরিচয় জানা গেছে। বাকিদের বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।