নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলার হাতিয়ায় সোমবার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে ব্যালট পেপারে সিল দিতে গিয়ে দুইটি ভোট কেন্দ্রের ৪ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ ছয়জন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা আটক হয়েছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬নং কেন্দ্রে ও জাহাজমারা ইউনিয়নের ১৩নং কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আটককৃতরা হলেন- চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬নং কেন্দ্র হাতিয়া ইউনিয়ন মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো.বেলায়েত হোসেন। অপর দিকে জাহাজমারা ইউনিয়নের ১৩নং কেন্দ্র হাজী মোজাম্মেল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সরকারী প্রিসাইডিং অফিসার আহমেদ রফিক, একই কেন্দ্রের সরকারী প্রিসাইডিং অফিসার মো. ছিদ্দিক উল্যা, একই কেন্দ্রের পুলিং অফিসার মুন্নি বেগম ও ফারজানা আক্তার। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চর ইশ্বর ইউপি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটানিং অফিসার নরুল ইসলাম জানান, দুপুর পৌনে ১টার দিকে চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিয়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট পেপারে বিভিন্ন মার্কায় সিল মারছিল। এসময় সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী কক্ষে গিয়ে দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান ও বেলায়েত হোসেনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
অপরদিকে জাহাজমারা ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম জানান, জাহাজমারা ইউনিয়নের হাজী মোজাম্মেল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ২টার দিকে দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আহমেদ রফিক, মো. ছিদ্দিক উল্যা ও পুলিং অফিসার মুন্নি বেগম ও ফারজানা আক্তারকে ব্যালটে সিল দেওয়ার সময় কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজুল হক হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন।
হাতিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আটককৃতরা ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধরা পড়ার পর পুলিশে সোপর্দ করেছে। তারা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা দেওয়ার পর পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।-কালের কণ্ঠ