সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও এসএসসি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষর ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায়। এতে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার শহীদ জয়নাল আবেদীন সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ফটকে এ ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় আহতরা হলেন, দশম শ্রেণির (২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী) বাদশা, দিদার, রায়হান, ইমন, নয়ন, আরাফাত, রাজু, জামাল ও সবুজসহ আরও একজন।
প্রত্যক্ষদর্শী মাসুদ মাহমুদ বলেন, বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে দশম শ্রেণির ক্লাস চলাকালীন বিরতির সময় ছাত্রদের মধ্যে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে তারা সহপাঠীসহ উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও স্কুলের শিক্ষক আসেন। তবে দ্বিতীয় শিফটে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ছুটির সময় দশম শ্রেণির ছাত্ররা তাদের ওপর লাঠি, রামদা ও রড নিয়ে আক্রমণ করে। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে এ সংঘর্ষে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ১০ জন আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষার্থী ইলিয়াস বাদশা বলে, স্কুলে সিনিয়রদের সামনে জুনিয়র এক ছাত্র সিগারেট খাচ্ছিল। এ সময় তাকে নিষেধ করলে সে সিনিয়র এক ছাত্রকে থাপ্পড় মারে। বিষয়টি উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাবেদকে অবহিত করলে তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবকে পাঠিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বসে মীমাংসা করে দেন। পরে স্কুল ছুটির সময় জুনিয়র ছাত্ররা এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ওপর লাঠি, রামদা ও লোহার রড নিয়ে হামলা করে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, হঠাৎ করে দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাত, সিপাতসহ আরও অনেক ছাত্র লাঠি নিয়ে ছুটে আসে। হামলাকারীদের বাধা দেওয়ার পরও তারা আমার উপস্থিতিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে সংঘর্ষ বড় হতে থাকলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) সহযোগিতায় পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী নজরুল ইসলাম জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়। চরজব্বার থানা পুলিশ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চরজব্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) উৎপল দেওয়ান বলেন, বুধবার (৩ নভেম্বর) স্কুলছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।