আরাফাতুর রহমান, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী বিদ্যুৎ বিতরণ নির্বাহী প্রকৌশলীর অধীনে সরকারি রাজস্ব খাতে চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, জেলা প্রশাসক, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ, গণপূর্ত সরকারি আবাসিক এলাকা, নোয়াখালী পৌরসভা সহ ধর্মীয় মসজিদ মন্দির ৮টি প্রতিষ্ঠান ২০১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ কোটি ৪ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।
অফিস সূত্রে জানায়, এসব প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের বকেয়া টাকা না দেয়ায় প্রতি মাসে জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় আলোচনা ও রেজুলেশান হলেও আমলে নেয়নি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তারা। সরকারের বিদ্যুৎ খাতে ওই সব বকেয়া রাজস্ব আদায় না করতে পেরে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ঢাকা বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সচিবের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সাধারণ গ্রাহকদের ১০ হাজার টাকা বকেয়া থাকলে তাদের বাসা বাড়ি, দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, জেলা প্রাশসক, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ বিভাগের স্ব স্ব মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেলিফোন, মোবাইল সহ বিভিন্ন সংস্কার কাজে প্রতি জুনে লাখ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হলেও ওই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখে ভূয়া ভাউছার সাজিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছে।
একই সময় নোয়াখালী পৌরসভাও কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও পৌরসভার মেয়র মাসের পর মাস বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখছে। অপরদিকে মসজিদ মন্দিরও কমিটির সভাপতি ডোনারদের কাছ থেকে বিদ্যুতের রাজস্ব বকেয়া পরিশোধ করতে হাজার হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে পরিশোধ করেনি। বিদ্যুৎ বকেয়া ৬ কোটি ৪ লাখ টাকার মধ্যে নোয়াখালী পৌরসভার ২ কোটি, পুলিশ প্রশাসন ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, নোয়াখালী জেলা প্রশাসন ১৫ লাখ টাকা, চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট ১৫ লাখ টাকা, সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য বিভাগ ২৫ লাখ টাকা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ মন্দির, ২৯ লাখ টাকা, নোয়াখালী গণপূর্ত সরকারি আবাসি এলাকা ৩০ লাখ টাকা ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ৮৫ লাখ টাকা দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছে বকেয়া।
এদিকে নোয়াখালী বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান জানান, প্রতি মাসে ওই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে তাদের বকেয়া পরিষোধ করতে বিল ও নোটিশ দিলেও আমালে নেয়নি তারা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভায় সরকারের রাজস্ব বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া বিল পরিষোধ করতে আলোচনা সমালোচনা রেজুলেশান হলেও আমলে নেয় না কর্মর্কতারা। প্রতি মাসে ওই রাজস্ব বকেয়া টাকা রিপোর্ট দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে কঠোর প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়। ওই সব সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ খাতে পরিষোধ করতে প্রতি জুনে লাখ লাখ টাকা বরাদ্ধ হলেও ইচ্ছা ও দায়িত্ব অবহেলায় কর্মকর্তারা সরকারি রাজস্ব বকেয়া টাকা না দিয়ে মাসের পর মাস বকেয়া রেখেছে।
১১ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস