আরাফাতুর রহমান, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সাথে পার্শ্ববর্তী জেলা লক্ষ্মীপুরের উপজেলা রামগতির সীমানা বিরোধের জের ধরে হাতিয়ার হরনী ইউনিয়নের বয়ারচর মাইনুদ্দিন বাজার এলাকা থেকে হাতিয়া কণ্ঠ পত্রিকার বয়ারচর প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম আরিফকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার ১৪ মে রাত ১২টার সময় এই অপহরণের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরিফ সন্ধ্যা থেকে মাইনুদ্দিন বাজারে একটি দোকানে আড্ডা দিচ্ছিল। রাত পৌনে ১২ সময় পার্শ্ববর্তী জেলা লক্ষ্মীপুরের উপজেলা রামগতির সোলেমান কমান্ডারের নেতৃত্বে ওলি, আমিরসহ ৬/৭ জনের একটি সন্ত্রাসী দল অস্ত্রের মুখে আরিফকে তুলে নিয়ে যায়।
ধারণা করা হচ্ছে গত মাস ধরে হাতিয়া কণ্ঠে এসব সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার জের ধরে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক আরিফকে অপহরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় হরনী ইউনিয়নের প্রশাসক মুশফিকুর রহমান অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আরিফকে অপহরণের খবর পেয়ে সাথে সাথে হাতিয়া থানার ওসি, এ এস পি সদর সার্কেল ও ইউএনওকে জানানো হয়েছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিছুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।
হাতিয়া কন্ঠের সম্পাদক এম দিলদার উদ্দিন বলেন, আরিফকে অপহরণের বিষয়টি হাতিয়া থানার ওসিকে জানানো হলে ওসি বলেন এটা অপহরণ করা হয়নি। হয়তো টাকা পয়সা লেনদেনে তুলে নিয়েছে আবার ছেড়ে দিবে।
তিনি আরো বলেন, হাতিয়া থানা পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে এ যাবত কোন ভূমিকাই নেয়নি। এর আগেও ঐ সন্ত্রাসীরা দুই মাঝি ও একজন প্রধান শিক্ষক সহ ৪ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে দুই মাঝি ফিরে ও প্রধান শিক্ষক কৌশলে পালিয়ে আসে।
উল্লেখ্যঃ হাতিয়া-রামগতি সীমানা বিরোধের জের ধরে গত ২১ তারিখ থেকে অদ্যবধি হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের দশটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে সন্ত্রাসী নিষেধাজ্ঞায়। এর জের ধরে হরণী ইউনিয়নের ব্রিকফিল্ডের মাঝি সিরাজপুর গ্রামের ছারোয়ার মাঝি (৩৫) ও সৌরভ মাঝি, প্রধান শিক্ষক আহসান উল্যাহসহ ৪ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। আর এসব ঘটনা হাতিয়া কন্ঠে প্রকাশিত হওয়ায় সাংবাদিক আরিফকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা।
১৫ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস