এস এ আসাদ, পাবনা : নির্বাচনী আমেজ বইতে শুরু করেছে পাবনার পাঁচটি (৬৮-৭২) আসনেই। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও কেন্দ্রে মনোনয়নযুদ্ধে নেমে পড়েছেন।
পাশাপাশি ইফতার পার্টিসহ ঈদ শুভেচ্ছা কার্ড দিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ইফতার মাহফিলের আড়ালে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি দলকে সুসংগঠিত করার কাজ করছেন নেতারা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের নামে পোস্টার সাঁটিয়ে দোয়া কামনা করছেন। পাবনা-৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য খন্দকার গোলাম ফারুক প্রিন্স আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, এডওয়ার্ড কলেজের সাবেক ভিপি সোহেল হাসান শাহীন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রকিব হাসান টিপু প্রমুখ। বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন দলের চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
জেলা বিএনপি রেজুলেশন আকারে তার নাম প্রস্তাব করেছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ধানের শীষ প্রতীকের জন্য তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান তোতা, জেলার সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সামাদ খান মন্টু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাকসুর সাবেক সিনেট সদস্য জহরুল ইসলাম বাবু এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল হক বাবু।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমান পৌর মেয়র কামরুল হাসান মিন্টুও নির্বাচনের তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি থেকে সাবেক এমপি মকবুল হোসেন সন্টু ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ মন্তাজ উদ্দিনও দলীয় টিকিট পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জাকির হোসেনের নামও শোনা যাচ্ছে।
অন্যদিকে জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান যুদ্ধাপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় তার পরিবার থেকে কেউ নির্বাচন করতে পারেন বলে জামায়াত সূত্র জানিয়েছে। পাবনা-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে।
এ ছাড়া সাবেক এমপি পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম লিটনও তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম সরদার এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা আকরাম আলী খান সঞ্জুও মনোনয়নপ্রত্যাশী। এলাকায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন সঞ্জু। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী থেকে আবু তালেব মণ্ডলের নাম শোনা যাচ্ছে।
পাবনা-৩ আসনে বর্তমান সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ছাড়াও ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা আলী আশরাফুল কবির দলীয় টিকিট পেতে দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ভাঙ্গুড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বাকি বিল্লাহ, রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুল আলীমও চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বিএনপি থেকে সাবেক এমপি আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক এমপি সাইফুল আযম সুজা, বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান ফখরুল আযম, জেলা বার সমিতির সাবেক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাসুদ খন্দকার ধানের শীষের মনোনয়ন পেতে তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাবনা-২ আসনে বর্তমান এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজু ছাড়াও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য খন্দকার বজলুল হকের নাম নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে।
এ ছাড়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আহমেদ ফিরোজ কবির, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সভাপতি মির্জা আবদুল জলিল, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান খান উজ্জ্বলের নামও শোনা যাচ্ছে। বিএনপি থেকে সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিবের নাম আলোচনায় রয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় বিএনপি নেতা আবদুল হালিম সাজ্জাদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনও আলোচনায় রয়েছেন।
পাবনা-১ আসনে বর্তমান এমপি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এবং আবারও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সাঁথিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা সরদার সোহেল মাহমুদ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে। বিএনপি থেকে সাবেক এমপি মেজর মঞ্জুর কাদের (অব.), বিএনপি নেতা রইচ উদ্দিন, শামসুল হক, আবদুল আজিজ, কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের সহসভাপতি ইউনুস আলীর নাম শোনা যাচ্ছে। - বিডি প্রতিদিন
জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসবি