পাবনা: কলেজে ভর্তির সাত মাস পর দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে যায় ইমরানের।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছেলেকে নিজের কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নেন। পাবনার চাটমোহরে নিজের কিডনি দিয়ে ছেলের প্রাণ বাঁচালেন বাবা মোশারফ হোসেন।
বুধবার বিকালে ঢাকার মিরপুর কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতালে বাবার শরীর থেকে ছেলের শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন করেন চিকিৎসকরা।
মোশারফ হোসেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের খৈরাশ গ্রামের স্কুল শিক্ষক। তার ছেলে আল ইমরান পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। ইমরানের স্বজনরা জানান, ২০১৫ সালে দশম ব্যাচে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন আল ইমরান।
কিন্তু কলেজে ভর্তির সাত মাস পর দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে যায় ইমরানের।ছেলের এমন অসুখে জমিজমা বিক্রি করে, পরিবারের সঞ্চয় মিলিয়ে প্রায় ২৮ লাখ টাকা খরচ করে সন্তানকে যথাযথ চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। কিন্তু ইমরানের প্রয়োজন ছিল কিডনি প্রতিস্থাপন।
কুল কিনারা না পেয়ে অবশেষে ৬০ বছর বয়সী বাবা মোশারফ হোসেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছেলেকে নিজের কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নেন। আল ইমরানের ভাই আল কায়েস বলেন, এমন বাবা পেয়ে এবং তার মতো মানুষের সন্তান হতে পেরে আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করছি।
গত বুধবার বাবার শরীর থেকে ছেলের শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন করেন চিকিৎসকরা। এখন বাবা ও ছেলে উভয়েই সুস্থ আছেন।