পাবনা: মুজিববর্ষে ভিক্ষা ছে'ড়ে ব্যবসা শুরু করলেন ২২ ভিক্ষুক। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ২২ ভিক্ষুককে ২১টি গাভি ও মুদি দোকানের মালামাল বিতরণ করে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করেছে সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ চ'ত্বরে ভিক্ষুকদের মাঝে গবাদিপশু ও দোকান ঘরের সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম জামাল আহমেদ।
ভিক্ষা ছে'ড়ে পু'নর্বাসি'ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সাবের আলী, আব্দুল মজিদ, লজিরন খাতুন, ময়না খাতুন, আয়েশা খাতুন, আছের আলী, আব্দুল লতিফ, সাহেরা খাতুন, বুলু খাতুন, খোদেজা খাতুন, শুকুরন নেছা, মুনসুর আলী, আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান, মোতালেব হোসেন, রেজাউল করিম, জাহেদা খাতুন, জহুরা খাতুন, হাফিজা খাতুন, নেকবার মোল্লা, ওমর আলী। এদের হাতে একটি করে গাভি ও মুদি দোকানের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
গাভি পাওয়া ভিক্ষুক লজিরন খাতুন ও সাহেরা খাতুন বলেন, বাবারে আমরা এতদিন ভিক্ষা করতাম। এখন গরু লালন-পালন করে আয় দিয়ে সংসার চালাব।
দোকান ঘরের সামগ্রী পাওয়া হাফিজা খাতুন বলেন, অসু'স্থ স্বামী ঘরে প'ড়ে আছে। এতদিন ভিক্ষা করে সংসার চা'লাতাম। এখন দোকানের আয় দিয়ে সংসার চালাব। আর ভিক্ষা করতে হবে না। আমরা সাঁথিয়া ইউএনওর প্রতি কৃত'জ্ঞ।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম জামাল আহমেদ বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভিক্ষুক পু'নর্বা'সনের এ উ'দ্যো'গ নেয়া হয়েছে। এটি চ'লমা'ন থাকবে। পু'নর্বাস'নকাজ নিয়মিত ম'নিট'রিং করা হবে। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় কর্মকর্তা নিয়ো'জিত থাকবেন। মুজিববর্ষে এসব ভিক্ষুকের স্বাভাবিক জীবন নি'শ্চি'ত করা হলো।
পাবনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ বলেন, এসব ভিক্ষুকের হাত যেন সত্যিকার অর্থে কর্মীর হা'তি'য়ার হতে পারে সেজন্য সবাইকে গাভি দেয়া হলো। গাভির দামের সমপরিমাণ নগদ টাকা দিলে খুব দ্রু'ত ব্যয় করে নিঃ'স্ব হয়ে যেতেন তারা। গাভি এবং দোকানের মালামাল দেয়ায় তাদের নিয়মিত আয়ের উৎস হবে। সমাজের বো'ঝা না হয়ে দেশের সম্পদ হবেন তারা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে তার জন্মশতবার্ষিকীতে একটি মহতী কাজ বা'স্তবায়ন করা হলো।