পাবনা: পাবনা শহরের একটি রেস্টুরেন্টের ইফতারি খেয়ে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৯ বিচারকসহ অন্তত ৩৫ জন অসুস্থ হয়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর, তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খাবারের বি'ষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়েছেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শামসুজ্জামান, জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান আল আজাদসহ প্রায় ৩৫ জন।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কাশ্মীরি হোটেলের মালিক হাসানুর রহমান রনি, ম্যানেজার সাব্বির হোসেন ও মাসুদ।
মামলার বাদী পাবনা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. মাহবুব আলম জানান, বুধবার (২০ এপ্রিল) পাবনা জজকোর্ট কনফারেন্স রুমে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। ইফতারি হিসেবে ৭০ প্যাকেট ইফতার সামগ্রী ও বিরিয়ানি প্যাকেট সরবরাহের জন্য পাবনা শহরের রুপকথা রোডের কাশ্মীরি হোটেলে অর্ডার দেওয়া হয়। হোটেল থেকে ইফতার ও খাবার প্যাকেট সরবরাহ করলে ওই খাবার খেয়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন গুরুতর অসুস্থ হন। খাবার পরীক্ষা করে দেখা যায়, খাবারগুলো খাওয়ার অনুপযুক্ত এবং দুর্গন্ধযুক্ত ও অত্যাধিক তৈলাক্ত।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত অসুস্থ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেড মো. শামসুজ্জামান, জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেড মো. হাসান আল আজাদ ও সহকারী জজ মো. তৌহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য বিচারক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললে তারা সবাই এই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরেন মর্মে জানান।
তারা আরো জানান, তাদের সবাই ফুড পয়েজনিং এ আক্রান্ত হয়ে এসময়েই বার বার টয়লেটে গিয়েছেন।
এঘটনায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ ইং এর ৩৩ ধারা মতে সিভিল সার্জন অফিসের সেনিটারী বিভাগের মাধ্যমে কাশ্মীরি হোটেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় কাশ্মীরি হোটেল মালিকসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।