এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পাবনার ঈশ্বরদীতে মোটরসাইকেল-করিমনের সংঘর্ষে আহত স্কুলছাত্র বিশাল হোসেনও (১৫) মারা গেল। ইতিপূর্বে তার অপর দুই বন্ধুও এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিশালের মৃত্যু হয়।
এর আগে তার দুই বন্ধু মিতুল হোসেন (১৫) ও সিয়াম সরদার (১৫) মারা যায়। বিশাল হোসেন উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি গ্রামের বাচ্চু হোসেনের ছেলে। সে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট রফিকুল ইসলাম জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে করে সরকারি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে ১০ম শ্রেণির নির্বাচনি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। পথে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুরে একটি করিমন মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মিতুল হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়।
সিয়াম সরদার ও বিশাল হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন সোমবার রাত ১২টার দিকে সিয়াম সরদার মারা যায়। সে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের শিহাব সরদারের ছেলে।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বকুল সরদার বলেন, একে একে তিনজন স্কুলছাত্রের মৃত্যুর খবর খুবই কষ্টের।