`ভব পারে যাবি রে অবুঝ মন
অামার মন রে রসনা,
দিন থাকিতে সাধন ভজন
করলে না'।
— পাগলা কানাই।
ইতিহাস অনুসন্ধান করে জানা যায় যে, পাগলা কানাই ১৮০৯ সালে বাংলা ১২১৬ এর ২৫ শে ফাল্গুন ঝিনাইদহের লেবুতলা গ্রামের এক দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কানাই শেখ তাঁর প্রকৃত নাম, পিতার নাম কুড়ন শেখ এবং মায়ের নাম মোমেনা বিবি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে কানাই ছিলেন সবার বড়। তাঁর ভাইয়ের নাম উজ্জ্বল শেখ, বোন স্বরনারী। গ্রামের মক্তবে অল্প কিছুদিন লেখাপড়া করেছিলেন। কিন্তু চঞ্চল স্বভাবের দরুণ তাঁর লেখাপড়া যাত্রা বেশিদূর পর্যন্ত পৌঁছতে পারিনি। তাঁর গানের মধ্যেও এ চঞ্চলতার সুস্পষ্ট ভাব পরিলক্ষিত হয়। তিঁনি লিখেছেন—
“লেখাপড়া শিখব বলে পড়তে
গেলাম মক্তবে
পাগলা ছ্যাড়ার হবে না কিছু
ঠাট্টা করে কয় সবে।
ছ্যাড়া বলে কিরে তাড়ুম তুড়ুম
মারে সবাই গাড়ুম গুড়ুম
বাপ এক গরীব চাষা
ছাওয়াল তার সর্বনাশা।
সে অাবার পড়তে অাসে কেতাব
কোরান ফেকা
পাগলা কানাই কয় ভাইরে পড়া হল
না শেখা।"
উল্লেখ্য যে, এঁই অাধ্যাত্নিক প্রবাদ পুরুষের বাল্যকাল, কৈশোরকাল এবং যৌবনকাল কেটেছে দারিদ্র্যের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যু্দ্ধ করে। তবে দারিদ্র্যতা থামাতে পারেনি তাঁর পথচলা, গ্রাস করতে পারেনি তাঁর অাধ্যাত্নিকতাকে। দুঃখের বিষয় এই যে, অতি অল্প বয়সেই পিতৃহারা হতে হয় পাগলা কানাইকে। তিঁনি পাঠাশালায় পড়াবস্থাতেই তাঁর পিতা কুড়ন শেখ ইহলোক ত্যাগ করেন। একদিকে দারিদ্র্যতার অভিশাপ এবং অপরদিকে পিতৃহারার শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন কবি। এমতাবস্থায়, বোন স্বরনারীর শ্বশুড়বাড়ি `বেড়বাড়ি' নামক এক প্রত্যন্ত গ্রামে তাঁর থাকার ঠাঁই মেলে। এই সময় থেকেই তাঁর ভেতরকার অাধ্যাত্নিক শক্তি ধীরে ধীরে অারো জোরালোভাবে পরিস্ফুটিত হতে থাকে। ইতিহাসাশ্রয়ে জানা যায়, পাগলা কানাই বোনের বাড়ি গরু চরাতেন অার এরই ফাঁকে ফাঁকে গান বাঁধতেন। সুরও দিতেন তিঁনি নিজেই। তাঁর গানের গলাও ছিলো দারুণ। তাঁর গান শুনে অনেকে উপস্থিত হতো এবং তাঁরা তন্ময় দৃষ্টিতে তাঁর গাওয়া গান শ্রবণ করতো। কিন্তু কবিমন কি অার কোথাও স্থির থাকে! তারও বেশিদিন মন টিকলো না সেখানে। তাই জীবিকার সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে কাজ নিলো মাগুরার এক জমিদার চক্রবর্তী পরিবারের বেড়বাড়ির নীলকুঠিতে। কিন্তু মাত্র দুই টাকা বেতনের এই খালাসির চাকরিও বেশিদিন করা হলো না তাঁর। গানের টানে ছুটে বেড়ালেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে... দোঁতারা হাতে নিয়ে গান গাইতেন অার সকলে মুগ্ধতার দৃষ্টিতে গান শুনতো তাঁর। স্বভাবসুলভ এঁই কবি'র অবাধ বিচরণ ছিলো ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে। ঝিনাইদহের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে দোঁতারা হাতে ভবঘুরে গান গেয়ে বেড়াতেন। পরে অবশ্য তাঁর পদধূলি বিস্তৃতি লাভ করেছিলো বৃহত্তর কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলে। পরবর্তীতে, তিঁনি পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় তাঁর জীবনের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। এরই সূত্র ধরে, তাঁর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে পাবনার স্বনামধন্য ভাবুক কবি অালীমুদ্দীনের। তাঁরই সাথে তাল মিলিয়ে শুরু হয় তাঁর অাধ্যাত্নিক, দেহতাত্ত্বিক সব গান বাঁধার সূত্রপাত। সেখানকার বিভিন্ন অাসরে গান বেঁধে নানান রকম ভঙ্গিমায় উপস্থাপন করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দর্শকমণ্ডলীকে অাকৃষ্ট করে রাখতেন তিঁনি। পাগলা কানাই ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী গেয়েছেন। তিঁনি লিখেছেন—
``গেলো দিন
শুনো মুসলমান মোমিন
পড় রাব্বুল অালামীন
দিন গেলে কি পাবি ওরে দিন
দিনের মধ্যে প্রধান হলো
মোহাম্মদের দ্বীন।"
পাগলা কানাই শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মকে নিয়েই গান বেঁধেছেন এমন নয়। হিন্দু, পুরাণ, মহাভারত, রামায়ণ প্রভৃতি থেকে নানা উপমা গ্রহণ করে তাঁর যথাযথ সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন তাঁর রচিত গানে। তাঁর গানে মরমী ও সুফিবাদের ভক্তি স্বতঃস্ফূর্তরূপে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখা গানে অামরা খুঁজে পাই—
``কী মজার ঘর বেঁধেছে
হায়রে ঘর বাইন্ধাছে দুই খুঁটির
উপর।
পাগলা কানাই বলে ভাই সকলে
যখন অাসবে ঝড়
ছয় রিপু ছেড়ে যাবে সারথী নাহি
রবে
পড়ে রবে এইতো সাধের ঘড়।"
এছাড়াও, পাগলা কানাই ছিলেন ধুয়াজারি গানের স্রষ্টা। ধুয়াজারি জারিগানেরই এক বিশেষ ঢঙ। সাধারণত ধুয়ার সুর-মূর্ছনায় যখন কোনো ঘটনা প্রকাশিত হয় তখন তাকে ধুয়াগান বলা হয়ে থাকে। অার এই ধুয়াজারি গানের সাম্রাজ্যে একচ্ছত্র রাজত্ব করেছিলেন কানাই। তাঁর লেখা ও সুর করা গানগুলো নিপুণভাবে দাগ কেটে গেছে মানুষের হৃদয়ে। বলা বাহুল্য যে, জারিগান বিশেষত লেখা হয় কারবালার ট্রাজিক ঘটনাকে ভিত্তি করে। ইতিহাস অনুসন্ধান করে কারবালার মানবিক বিপর্যয়ের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে অামরা খুঁজে পাই, ফোরাত অবরোধের দরুণ হোসেন পরিবারের দুঃসহ পানিকষ্ট। এজিদ বাহিনীর কুচক্রিতায় পানিতৃষ্ণা নিবারণের ব্যর্থ প্রয়াসের বিষয়টি স্পষ্টরূপে অামরা কানাইয়ের জারির পদে লক্ষ করি—
``অারে পুত্র লইয়া, পুত্র কোলে
যায় দরিয়ার কেনারে
এজিদ গোলাম তীর মারে বুকে
অাবার মরা পুত্র নিয়ে দিল
কদভানু বিবির কোলে
পুত্র দেখিয়া বিবিরা সব টলিয়া
পড়ে
অাহা দুখিনীর ধন মারলি কে?
দুখিনীর ধন মারলি এজিদ তীর
মা'রে বুকে।"
নিদারুণ অসহায় হোসেন পরিবার, পতিনিঃস্ব সখিনার করুণ অার্তনাদ, জয়নালের উদ্ধার প্রয়াসের বিবরণ থেকে এজিদের অন্তর্ধান পর্যন্ত কারবালার মর্মান্তিক কাহিনীর অসংখ্য বিষাদময় অধ্যায় নিখুঁতরূপে ফুটে উঠেছে পাগলা কানাইয়ের গানগুলোতে।
পাগলা কানাই পুণ্যভূমি মদিনার তুলনা করেছেন বৈষ্ণবতীর্থ নবদ্বীপের সঙ্গে। অপরপক্ষে, বিবি ফাতেমার পুত্রশোককে কৃষ্ণজননী দৈবকীর সঙ্গে তুলনা করে লিখেছেন তিঁনি—
``ও যেমন দৈবকিনীর কৃষ্ণহারা
ও দুঃখে মায় পাগলপারা
ও চক্ষে না রয় ধারা,
ও গোপাল উদরে রাখলাম
ও চন্দ্রমুখ না দেখিলাম
ও প্রাণ থাকতে থাকতে
পাষানের গায় জ্যান্ত মরা
ও বুঝি সে দশা অামার হলো,
কেনো ইমাম ছেড়ে গেলো
ইমাম শোক, অাগুন র'লো
মায়ের বুকে পু'রা।"
ধুয়া গান অাসলে জারিগানেরই বিক্ষিপ্ত অংশ এবং এক অর্থে পরিপূরকও বটে। লীলাকারী ধুয়া ধুয়াগানের একটি প্রধান পর্ব। রাধাকৃষ্ণের প্রণয়লীলাই মূলত এর উপজীব্য বিষয়।
পাগলা কানাইয়ের ভাষায়—
``পাগলা কানাই বলে- প্রেম
বিচ্ছেদে প্রেমের জ্বালায়
সখি রে অামার প্রাণ তো বাঁচে
না।
অাসি বলে গেলো মথুরায় অার
তো ফিরে এলোনা।
অামার প্রাণে প্রবোধ মানেনা।"
এরই পথ ধরে ধুয়াজারির ধারক ও বাহক পাগলা কানাই পালাগান, জারিগান প্রভৃতি রচনা করে ও নিজ কণ্ঠে গেয়ে এলাকায় পরিচিত হয়ে উঠেন। গান রচনার ক্ষেত্রে এঁই অাধ্যাত্নিক গুরু নিজের উপস্থিত বুদ্ধিরই সহায়তা নিতেন সর্বাধিক। বিভিন্ন অাসরে এভাবেই পাগলা কানাই মনের মধ্যে তাঁর অসামান্য সব দেহবাদী, অাধ্যাত্নিকাশ্রয়ী পালাগান, ধুয়াজারিগান রচনা করে বহিঃসম্মুখে শ্রোতাদের শোনাতেন।
তখনকার সময়ে অাসরের অন্তিম মুহূর্তে গীত হতো প্রশ্নসূচক ধুয়া। অনন্য বিবেকসত্তার ও অসীম বুদ্ধিমত্তার কবি পাগলা কানাইয়ের সেসব ধুয়ার কুটিল ধাঁধার শৃঙ্খল ভেঙ্গে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল অবস্থার মধ্যে পতিত হতে হতো। ক্রমে ক্রমে পাগলা কানাই এভাবেই ধুয়া জারিরও অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর রূপে অাত্নপ্রকাশ করেন।
কানাইয়ের অাগেও অনেকে ধুয়াজারি রচনা করেছেন। কানাই ধুয়াজারির প্রবর্তক না হলেও সার্বিক দিক বিবেচনায় তিঁনি ধুয়াজারিকে যে উচ্চতর স্থানে অাসীন করতে সমর্থ হন তাতে করে তিঁনি যে ধুয়াজারির মূল জাদুকর— এঁই বিষয়ে দ্বিমত ব্যক্ত করার অবকাশ নেই।
পাগলার গুরুতত্ত্ব সম্বন্ধীয় পদের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। তাঁর অনেক গানেই মুর্শিদ বন্দনা, গুরু মাহাত্ন্য সুস্পষ্ট—
``মুক্তি কিসে হবে গো
জীবের ভক্তি বিহনে
ভক্তি হইছে অমূল্য ধন
গুরুর কাছে লও গা জেনে।
গুরু হয় জ্ঞানের দাতা, সে
জানে মর্মব্যথা
গুরু বিনে অার কে জানে?"
পাগলা কানাইয়ের কিছু শিষ্যের সন্ধান অামরা খুঁজে পাই। করিম বিশ্বাস, করমদ্দী, কালাচাঁদ বয়াতি, ইন্দু বিশ্বাস, হাকিম শাহ এদের মধ্যে অন্যতম। শিষ্যদের নিয়ে তিঁনি কুষ্টিয়া, যশোর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা প্রভৃতি অঞ্চলে গান পরিবেশন করে বেড়াতেন। তাঁর রচিত গানের মধ্যে অামরা দেহতত্ত্ব বিষয়ক মরমি ও ভাবগানে তাঁর অবাধ বিচরণ অবলোকন করি। তাছাড়াও, যোগতত্ত্ব, নবীতত্ত্ব, কৃষ্ণবন্দনা, জীবনের নিগূঢ় রহস্য মূলোৎপাটন, সংসারের জড়তা সহ মরমি গানের সকল বিভাগে তাঁর নিরন্তর পথচলা সত্যিই এক বিস্ময়ের বিষয়! পাগলা কানাইয়ের ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন একসময় গ্রামবার্তা পত্রিকার সম্পাদক, বাঙ্গালিয়ানা সাহিত্যের অার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র কাঙ্গাল হরিনাথও। তিঁনি বলেছেন, `কানাই-এর গান শুনলে লোকে পাগল হইয়া যায়।' এ থেকেই অামরা অনুধাবন করতে সক্ষম হয় যে, তদানীন্তন সময়ে পাগলা কানাইয়ের জনপ্রিয়তা চৌদিকে কতোটা প্রভাব বিস্তার করেছিলো!
পাগলা কানাই তাঁর গান দিয়ে মানুষের মনের মনিকুঠোয় প্রবেশ করতে পেরেছিলেন অার পেরেছিলেন বলেই অাজও তিঁনি তাঁর রচিত অমর গানগুলোর মধ্য দিয়ে অামাদের সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দিয়ে অাসছেন। এই মরমী কবি সাহিত্যের এক বিশেষ স্থানে নিজেকে স্থাপিত করতে পেরেছেন অার তাঁর গানগুলো এখনও অামাদের পথপ্রদর্শরূপে কাজ করে যাচ্ছে।
অাধ্যাত্নিকবাদের এই মহান গীতিকবি বাংলা ১২৯৬ সনের ২৮ অাষাঢ় (১৮৮৯ সালে) তাঁর অগণিত ভক্ত ও মহাকৃত্য রেখে অন্তিমের পথে যাত্রা করেন।
কবি'র স্মৃতি অমলিন রয়ে গেছে, শুধু কবি নেই। তবে তাঁর গানগুলোর মাধ্যমে তিঁনি বেঁচে থাকবেন অামাদের হৃদ মাঝারে অনন্তকাল... তাঁর স্মৃতিপটের অস্তিত্ব অামরা স্বচক্ষে দেখি ঝিনাইদহ জেলার বেড়বাড়িতে। সেখানে তাঁর বসত বাড়ি অক্ষত রয়েছে অাজও অার ঐ এলাকাকে এখন লোকে পাগলা কানাই নামেই চেনে। কবি'র স্মৃতি রক্ষার্থে সেখানে কবি'র নামে নির্মিত হয়েছে পাঠাগার, মিলনায়তন, সংগীত শিক্ষাকেন্দ্র, অাবক্ষ মূর্তি ও সমাধি। এখানেই প্রতিবছর কবি'র জন্মবার্ষিকী ও তিরোধান দিবসে তিন দিনব্যাপী স্মরণোৎসব পালিত হয়ে অাসছে।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য গবেষক ও সংগ্রাহক দুর্গাদাস লাহিড়ী, মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন, অাবু তালিব, অামিন উদ্দিন শাহ, মাযহারুল ইসলাম প্রমুখরা পাগলা কানাইয়ের গান সংগ্রহ ও গবেষণা করেছেন। তথাপি দুঃখের বিষয় এই যে, কবি'র অনেক গানই অামরা সংগ্রহ করতে পারিনি। এ যাবৎ তাঁর চার শতাধিক গান অামরা সংগ্রহ করতে পেরেছি মাত্র। সামাজিক প্রতিকূলতার প্রেক্ষাপেট তৎকালীন সময়ে পাগলা কানাই মরমীবাদের উৎকর্ষ সাধনকল্পে যেঁ বিশেষ অবদান রেখে গেছেন সেঁই অবদানকে অামরা কখনোই অস্বীকার করতে পারিনা। তাই তাঁর রচিত গানে অামরা খুঁজে পাই দেহতত্ববাদ থেকে শুরু করে জীবনের জটিল রহস্য উৎঘাটনের সূত্রও। তাঁর গান নিয়ে অামাদের অারও গবেষণা চালাতে হবে, তাঁর ভেতরের মানুষটাকে অাবিষ্কারের চেষ্টা করতে হবে। কেননা তাঁর গানগুলো অাজ অবধি বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য ধনস্বরূপ ও সম্পদবিশেষ।
ফয়সাল হাবিব সানি
তরুণ কবি ও সাহিত্যিক, বাংলাদেশ।
`অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৬'- তে প্রকাশিত `দাবানল' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা।
অনার্স প্রথম বর্ষ (বাংলা বিভাগ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ।
১২ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস