মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু
তেলারু কবিদের
তেল তেলে কবিতায় তৈলাক্ত হয়েছি!
দর্শক হয়ে স্তুতি কাব্যের বন্যায় ভেসেছি
সেল্ফি তুলে সেলফিস হয়ে ক্লিক ক্লিক
মাই সেল্ফ ছবি তুলেছি।
কবিতা শুনেছি
কতিপয়ের কবিতা আর উচ্চারন শুনে চোখ কপালে তুলেছি
বর্ণ মালার বই নিয়ে অ আ ক খ পড়ছি
কবিতা শুনে নিজের কবিতা নিজের মনে বার বার পড়ছি।
নিজেকে কবিতার মানুষ ভাবতে লজ্জা পাচ্ছি
ছবি তোলার মঞ্চ প্রতিযোগীতায় হার মেনেছি
কেদারা পতি নাকি কবিতা পতি নিজেকে
কি ভাববো তাই ভাবছি।
স্যালুট জানাই হে প্রবাসী অর্ধ শিক্ষিত শ্রমজীবী প্রবাসী
লিখিয়ে গন, যারা রক্তের আঁকরে ঘামের কালিতে
হৃদয়ের কোরা কাগজে লিখছো, কষ্ট বিলাসী
যন্ত্রনার শব্দ মালা-
আজ আমার বিবেচনায় অনেকের চেয়ে ভালো লিখছো।
হয়তো তোমাদের ঠাঁই হবে কোন দিন মাতৃভুমির কবিতা মঞ্চে
মেশিনের তালে,সুউচ্চ ইমারতের চুঁড়ায় দাঁড়িয়ে
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে লিখছো তোমরা শ্রম সাহিত্য,
বেদনার নীল চিঠি,দেশ প্রেম আর অভিবাসনের সাতকাহন।
তোমরা হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের পর,ঘাম ঝরানো অর্থ ব্যায়ে
দুরান্ত থেকে ভাষার টানে ছুটে আসো,সমবেত হও, কবিতা পড়ো,
অর্থ নিয়ে নয়,অর্থ দিয়ে করছো সাহিত্য চর্চা প্রবাসের বুকে
তোমরা কবিতার আড্ডায় মধ্যমনি অর্থের বিনিময়ে করো না,
বাংলার সাহিত্যাঙ্গনে ঢুকেছে সাহিত্য ব্যাবসায়ী
কবিতা,অকবিতার ফারাক বিশ্লেষনেও চাই অর্থের বেসাতি
শব্দরা হয়ে পড়েছে তাবেদার, কেউ নেই রুখবার!
অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে দ্মবেশীরা আজ কাব্যের ঠিকাদার।
বিব্রত আমি,বিব্রত আমার শব্দ, ক্ষত বিক্ষত আমার অকবিতা!
২৮ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস