পাঠকই লেখক ডেস্ক: প্রবাস থেকে লেখালেখি করি ফেসবুকে বেশি।মুহূর্তেই মাথায় যা আসে ফটাফট স্টেটাসে দিয়ে দেয়া একটা রোগে পরিণত হয়েছে।ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়া এ থেকে মুক্তি নেই। অনলাইনে ও আসছে। সিঙ্গাপুরেরবাংলার কন্ঠতো আছেই। আগে নিয়মিত থাকলেও এখন মাঝে মাঝে। বাংলার কণ্ঠই, মূলত আমার লেখা লেখির ,প্রকাশিত পত্রিকা। বাকি গুলো অনলাইন।
ফখরুল ইসলাম শাওন ,বাংলাদেশ কবি পরিষদের মাধ্যমে তার সাথে সখ্যতা।সাহিত্যাঙ্গনে লেখালেখির পাশাপাশি গায়ে খেটে সংগঠনকে সময় দেয়। যোগাযোগ ও রাখে। গত কয়েকদিন আগে ইনবক্সে জানালো ভাইআপনার একশআশি ডিগ্রি বইয়ের কপি পাঠান। আমি দেশে বলে দিলাম,”কষ্ট বিলাস”,”একশো আশি ডিগ্রি”,”বন্ধু তুমি সায়াহ্নে” পাঠানো হলো।
গতকাল ইনবক্সে দেখলাম আমার পক্ষ থেকে একটি ক্রেস্ট মানে সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেছে। অনেকেই জানে আজকাল সম্মাননা খুব সস্তা হয়ে গেছে।আলু মটর পেঁয়াজ ডাল মাছের চেয়ে পদ পদক সম্মাননাসহজ। এ বিষয়টা এড়িয়ে যেতে চাই।
এতো জ্ঞানী গুণী থাকতে আমার মতো প্রবাসীকে দেয়া বা প্রবাসীর অনুপস্থিতে সন্মনা গ্রহণ আমার কাছে ভালো ঠেকে না.লেখার মান সেই পর্যায়ের ও নয়.আমি সাদা মাটা লেখার মানুষ।বাস্তব যা ঘটে তার সাথে কিছুকল্পনার মিশ্রণ ঘটাই। কিছু স্বপ্ন দেখি,কিছু স্বপ্ন দেখাই,কিছু প্রতিবাদ করি.লাঠি শোটার প্রতিবাদ লেখায় করি.শরীর ঠান্ডা করি. একশ আশি ডিগ্রি বইয়ের নাম উল্লেখ না থাকলেও সাহিত্যাঙ্গনে অবদান রাখার জন্যবিশেষ সম্মাননা লেখা আছে ক্রেষ্টে। ৮৮সাল থেকেই লেখা লেখির সাথে থাকলেও আসলেই এর যোগ্য আমি নই।যদিও অনাকাঙ্খিত ব্যক্তি বর্গের হাতে চলে যায় শান্তি পুরস্কার ,তেমনি যাচাই বাছাই ছাড়াও সম্মাননাগুলিও অপাত্রে যায়.নিজেকে সেই রকম অপাত্রই ভাবি। কারণ আছে.এখন সম্মাননার কথা গর্বের নয় শুধু,হাসির ও বটে।কিছু সাহিত্য ব্যাবসায়ীদের জন্য ভালো কিছু সংগঠন প্রতিষ্ঠানের ভালো কাজ গুলিও প্রশ্ন বিদ্ধহয়.তাই বলে কি বন্ধ হয়ে যাবে সব.মোটেই না.সঠিক বিচার বিশ্লেষণ এর প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।
প্রত্যেকটি সন্মাননা যে কোন লেখকের অনুপ্রেরণা। বিতর্কের বাইরে গিয়ে বলি এই উদ্যোগ গুলি প্রতিভা বিকাশে সহায়ক। হুট্ করে কেউ বাংলা একাডেমির
লেখক: মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু
২২ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস