জাহাঙ্গীর বাবু
কিশোরী মায়ের আদরের দুলাল, হয়ে গেছি বুড়ো
মায়ের কাছে আজো আমি, রয়ে গেলাম ছোট।
মা বলে ডাকি যখন,বাবা বলে, বলে, খোকন
একটু খানি অসুখ হলে,আজও মায়ের অস্ত্রু ঝরে।
খেলার মাঠে যেতাম যখন, মা আড়ালে দেখতো তখন
একটু খানি হোঁচট খেলে, মা বলতো উফ।
পড়ার টেবিলে রাত জাগলে, মা বসে থাকতো পাশে
ভোর সকালে আজান হলে, তুলতো আদরের ডাকে।
প্রবাসে আসি আমি যখন,মা যে আমার কাঁদে তখন
ফিরে গেলে মায়ের কোলে, কপাল চোখে চুমু আঁকে।
হামাগুড়ি, শৈশব , কৈশোর, কিংবা যৌবন কাল
মায়ের কাছে কচি খোকা, হোক সে বৃদ্ধ কাল।
মায়ের এক ফোঁটা দুধের ঋণ, কেউ শোধিতে না পারে
মা থাকিতে মা ডাকতে পারেনা, সেই যে ,অভাগারে।
প্রথম ছেলের বৌ এলে ঘরে, প্রথম খুশি সবাই
ভাই ভাবিতে মিলের মেলা, মা কোলে সবাই।
দ্বিতীয় বৌ আসলে পরে, মা পরে বিপাকে
তৃতীয় বউ আসলে ঘরে, মায়ের কষ্ট বাড়ে।
কাকে রেখে কাকে দেবে,ভালবাসার চাবি
ছেলে বৌ দের আপন খায়েশ, স্বার্থ মতলবী।
ছেলেরা সব বৌ সন্তানের,ভবিষ্যতের, ভাবনা শুধু ভাবে
মা যে আমার ছেলে হারিয়ে, আঁচলে চোখ মুছে।
মায়ের ভালোবাসা কম হয়না কভু, সন্তান নাহি বোঝে
মা চলে গেলে পরপারে, সে সন্তানেরা নিজের ভুলটা বোঝে !
মা থাকিতে মায়ের আঁচল, ছাড়িসনা বন্ধু, ভাই, বোন
মা ছাড়া এই দুনিয়াটা শূন্য, মরুভুমি, মমতাহীন।
কিশোরী মায়ের আদরের দুলাল হয়ে গেছি বুড়ো
মায়ের কাছে আজো আমি রয়ে গেলাম ছোট।
মা -বাবা যেন যায়না ওরে বৃদ্ধাশ্রমে
শিশু কাল ফিরে আসে মা বাবার বৃদ্ধ কালে ,
তুমি আমি শিশু ছিলাম কি করেছেন, মা -বাবা
চোখ বন্ধ করে এখনই ওরে মা-বাবার পা ছুঁয়ে দেখনা।
সারা পৃথিবীর শান্তি আছে, মা-বাবার ছায়াতলে ,
কেমন লাগবে বুকের ভেতর, ভেবে দেখো একবার,
তোমার সন্তান দূরে গেলে।
মায়ের পদ তলে সন্তানের জান্নাত, এমনি কি বলে ?
মা যে আমার সাত রাজার ধন, জন্ম যার জঠরে।
বৌদের বলি,তোমরাও মা, মা কে মা ভেবো, শত্রু না।
মা'দের বলি পত্রবধূ কে কন্যা ভেবো, ছেলে কেড়ে নেয়া ডাইনি,রাক্ষুসী না।
মাগো আমি তোমার কোলে সারা জীবন থাকতে চাই
তোমার মমতার আঁচলে মাগো স্বর্গ সুখ খুঁজে পাই।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস