রিক্তের বেদন
পাঠকই লেখক ডেস্ক: "নিলয় এবং নিরুপমা ! নিরুপমা আমার ছদ্দ নাম অবশ্য নিলয়ের দেয়া । নিলয়ের সাথে কিভাবে পরিচয়? কিভাবে প্রেম? তা না হয় নাই বললাম! ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় বর্ষে এবং আমি দ্বিতীয় বর্ষে ॥
.
.
নিলয় আমার জীবনে ঘোড়ার দৈাড়ের মত এসেছিল ! যেভাবে লাগাম ছাড়া এসেছিল সে ভাবেই লাগাম ছাড়া চলে গেল! মাঝখানে কেবল আধো আলোই আধো ছায়ায় তলিয়ে গেল স্বপ্নগুলো!
.
.
জীবনের নাটাই ছেড়া ঘুড়ির মতই বিদ্ধস্ত হয়ে আমার বুক ভেঙ্গে ঝরে পড়ে করুন আর্তনাদ আর ব্যর্থতার বারিধারা! এতটা ব্যথা নিয়ে আমাদের ভালবাসা শুরু হয় নি ।। শতরাঙ্গা গোলাপ দিয়েই মনের আদান প্রদান হয়েছিল। ভালবাসার দিনগুলো ভালই কাটছিল আমাদের, কখনো রাগ কখনো অভিমান
কখনো প্রচন্ড ঝগড়া তারপর ভালবাসা-বাসি ।
.
.
কিন্তু হঠাত দেশে শুরু হয় রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর ক্ষমতার যুদ্ধ ! কে কত জীবন হরন করতে পারে, ঐ তান্ডবের মুখে নিলয়ের ....... অাগুনের সাথে ঝলসে যায় নিলয়ের গোছানো স্বপ্নগুলো ও !
.
.
আর আমি ? আমি তো পথের ধুলো ! কে রাখে আমার খোজ! জীবনের কোন বিশেষ অংশের অনুপস্থিতি উপলব্ধি করছিলাম ! কিন্তু তা অব্যক্ত থেকে যায় । দিন যেয়ে রাত,রাত পেরিয়ে মাস.. অপেক্ষার প্রহর শেষে DMCH থেকেই অয়ন আমায় ফোন করল , কি বলেছিল তা মনে নেয় তবে ঐ দিন যে আমার
জীবনে শ্রেষ্ঠ দিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
.
.
তিন মাস পর.........
নিলয় আমাকে আর ভালবাসে না নাকি ভালবাসতে চায় না তা জানি না । ধীরে ধীরে দুরত্ব শুরু হয়।আমার কান্না ওর কাছে অসহ্য লাগে অথচ একসময় ঐ কান্না ওকে অস্থির করে দিন।তারপরও আমাকে ছেড়ে চলে গেল ,বাকি থেকে গেল জীবনের চরম সত্যটা।তুমি ছেড়ে গেলে পুড়ে গেছ বলে।যাতে আমি সুন্দর কাউকে নিয়ে জীবনে সুখি হতে পারি।আমার সুখ টাই তোমার কাছে চাই তাই না??? কিন্তু আমি আজ সব বলছি তোমাদের .........
.
.
হৃদয়ের চাপা কষ্টের মাঝে তৃপ্তির আনন্দ আজি উপলব্ধি করলাম ।তোমার আদি বন্ধন অভূলনীয় । মনে পড়ে প্রথম দিনের স্মৃতিগুলো? কাপা কাপা পায়ে দাড়িয়ে ছিলাম রাস্তার একপ্রান্তে তুমি আর অন্য প্রান্তে আমি!
.
.
রিকসার দু প্রন্তে দুজন ,যেন চির লজ্জায় বিভোর। ঘাসফুল হাতে একটু ছুয়ে দেয়া । তারপর মুগ্ধতায় দুজন দুজনকে নিগূড় বাধনে বেধে ফেলা । আজ সবি আগুনে পোড়া স্মৃতি আমার জন্য!!!
.
.
আচ্ছা মনে পড়ে ,তোমায় সবসময় বলতাম " তুমি শুধু ভালবেসে আমায় । আমি তোমার সুন্দর জীবনে কখন আমাকে জড়িয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন করব না " কখন এর কারন জানতে ইচ্ছা হয়নি? আমি খুব ছোট তখন । গ্রামের পুকুরে স্নানের সময় কি যেন চোখে গেল ,আর কখন আমি ডান চোখে দেখতে পায়নি ,
.
.
পৃথিবীর আলোর অর্ধেক আমি পায় . এটুকু যেন আমার অধিকার । যা আজো তোমার অজানা। আসলে সারা জীবন তো আমার একাই কাটাতে হবে তাই চেয়েছিলাম তুমি আমাকে অনেক ভালবাসো । তোমার ভালবাসা নিয়ে সারাজীবন কাটাতে চেয়েছিলাম।
.
.
অনেক আশা ছিল তোমার হাত ধরে অন্ধকারে রাতের তারা দেখবো । কেননা এক চোখের অন্ধকার নিয়ে একা একা রাতের তারা দেখার সাহস হয় নি কখনো ! আর কখনো তারা দেখা হবেনা আমার ! তোমার এক্সিডেন্ট তোমার হাত আর মুখের কিছু অংশ পুড়িয়েছে কিন্তু আমার এক্সিডেন্ট আমার কৈশর ,যৌবন
শেষ করে দিয়েছে ! কেড়ে নিয়েছে আশা, ভালবাসাকেও।আমি তোমার থেকে চলে যেয়ে আমার কথা রেখেছি অবশ্য এটাও তোমার অবদান , তুমি সাহায্য করেছ তাই পেরেছি ।। আমি তোমার দেয়া ভালবাসা নিয়ে বেচে থাকব আমৃত্যু ।।
.
.
তবে মরনের পর যদি পরপার বা পরজন্ম বলে কিছু থাকে তবে ঐ জীবনে স্রষ্ঠার কাছে আমি তোমাকে চেয়ে নেব।তুমি আমার হবে। ঐ জন্মে আমি অন্ধ হব না । দুচোখ ভরে তোমায় দেখবো আর এক সাথে রাতের তারা দেখবো দুজনে ! ফিরে এসো তুমি ... অপেক্ষাতে আছি। পরপার কেবলি তোমার আমার ........ সরি নিলয় আমার অন্ধত্বের কথা তোমাকে বলতে না পারার জন্য ! সবসময় তোমাকে হারানোর ভয় হতো তাই বলিনি অথচ সেই হারিয়ে ই গেলে ! I LOVE U SO MUCH NILOY.......
.
.
বিঃদ্রঃ ( গল্পের সাথে বাস্তব জীবনের মিল থাকে না।থাকলেও অনিচ্ছাকৃত।)
লেখকঃ নিলয় আহসান নিশো (বৃষ্টিহীন বর্ষাকাল)
বি:দ্র: সম্পাদক দায়ী নয়
০১লা নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস
�