সোনালি ধানের শীষে মুক্তার মতো জ্বলছে শিশির বিন্দু
এসএম আবু সাঈদ: শীতের দিনে গ্রামের মেঠোপথ, ফসলের ক্ষেতের পাশে দাঁড়িয়ে মনে পড়ে যায় কবি গুরুর বিখ্যাত বিখ্যাত কবিতার দুটো লাইন ,দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ ঘর হতে দু’পা ফেলিয়া/ একটি ধানের শীষের উপর/ একটি শিশির বিন্দু’।
সকালের হিমেল হাওয়ায় শীতের আগমন বার্তা পেতে শুরু করেছে উত্তর জনপদের মানুষ। এ অঞ্চলের কৃষকরা সকালের শীত মোকাবেলায় গায়ে চাদর জড়িয়ে নিজ নিজ কাজে বেরিয়ে পড়ছেন। উত্তর জনপদের মাঠে মাঠে এখন দোল খাচ্ছে সোনালি ধানের শীষ। সেই ধানের শীষের পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দু সকালের সূর্যের কিরণে জ্বলছে মুক্তর মতো। হালকা হিমেল হাওয়ায় দোল খায় ফসলের মাঠ, দোল খায় কৃষকের মন। শীতের এই আগমনে কুয়াশা ভেদ করে মহাসড়কগুলোতে বাস ট্রাক চলছে হেড লাইট জালিয়ে। শীতের সকাল মানেই ভাপা পীঠায় নাস্তা সারা। তাই তো উত্তরের মহাসড়কগুলোর মোড়ে মোড়ে বসেছে ভাপা পিঠার দোকান, চিরচেনা এই দৃশ্যই বলে দেয় শীতকাল আসন্ন।
শীত এলেই মনে পড়ে যায় খেজুরের রসের মন ভোলানো স্বাদের কথা। গাছিরাও শুরু করেছে খেজুর গাছ কেটে মাটির ঠিলায় (কলস) রস জমাতে। শহরের পশ্চিম দিকে কাহালু উপজেলা সড়কের দুই ধারে তাকালেই চোখে পড়ে অসংখ্য খেজুর গাছ। গাছিরা দল বেধে ভোর থেকে শুরু করে রস সংগ্রহের কাজ। প্রাণ জুড়ানো এই রসের চাহিদা পূর্বেও ছিল এখনো আছে। সকারৈ রস সংগ্রহের পর মাটির কলসে ভাড় সাজিয়ে বিক্রি করে গাছিরা। অনেকে আবার রস জাল দিয়ে তৈরি করছে গুড়। খেজুরের গুড়ের চাহিদা এই অঞ্চলে ব্যাপক। অন্যদিকে সন্ধ্যা হতে না হতেই শীতের কাপড় জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা । শহরের সেউজগাড়ী এলাকার জেসমিন আক্তর, নামাজগড়ের মায়সহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতের শুরুতেই লেপ-তোশক তৈরি করে নিচ্ছি। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসব পণ্যের দামও বৃদ্ধি পায়।
ইতিমধ্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বাধাকপি, ফুলকপি, ঝিঙা, ঢেড়স, বরবটি, বেগুনসহ শীতকালীন অনেক সবজি।
১৭ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ
�